মো. লালমিয়া, তারাগঞ্জ (রংপুর)

  ১৪ আগস্ট, ২০২২

কৃষিতে খরচ বাড়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষক

কৃষিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষিপণ্যের দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা। আমন ধানের চারা রোপণের শেষ সময় চলছে। এদিকে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ধানের চারা রোপণের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই মেশিনে সেচ দিয়ে জমিতে আমনের চারা রোপণ করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। তবে তেলের দাম ও ইউরিয়া সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, এ বছর বর্ষার সময়েও দেখা নেই বৃষ্টির। কাঁঠ ফাঁটা রোদে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে তাপদাহের। মাঠ-ঘাট ডোবা-নালা সবখানেই বৃষ্টির বদলে খা খা অবস্থা। চলছে আমন ধানের চারা রোপণের শেষ সময়। বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ধানের চারা রোপণের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবুও দেখা মিলছে না বৃষ্টির। সময় শেষ হয়ে গেলে আমন ধান রোপণ করতে না পারলে কৃষকেরা সারা বছর খাবে কী তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। অনেকে মেশিনে সেচ দিয়ে জমিতে আমনের চারা রোপণ করছে। কিন্তু হঠাৎ তেলের দাম ও ইউরিয়া সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা। আমনের চারা রোপণ করতে আর্থিকভাবে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘হামরা কিষাণখাটা মানুষ এ বছর মনে হয় মরমো। তেল আর ইউরিয়া সারের যে দাম বাড়ছে হামার নিকাশ খরে গেইছে। এত দাম বাড়াইলে আবাদ করমো কি করি। মুই মানুষেরটে ৩০ শতকের জমি আদি নিচুং রোয়া গারির জন্যে। আগোত হামরা রোয়াবারিত ঘণ্টা দরে পানি ছেকচেনো ১ ঘণ্টা পানি ছেকি টাকা নেচলো ৮০-৯০ টাকা আর এখন এক ঘণ্টা পানি ছেকলে টাকা নেয় ১৫০ টাকা। কনতো আবাদ করির জন্যে এইতলা টাকা হামরা গরীব মানুষ কোনটে কোনা পাই। কষ্ট করি ধান গারিছি কিন্তু ধানের যদি দাম বেশি না পাই তা হইলে হামাক মরির নাগবে।’

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ বাজারের সার, কীটনাশক ও বীজ ব্যবসায়ী হোসেন সরকার জানান, কৃষিতে ব্যবহৃত সকল ধরনের জিনিসে দাম বাড়ানোর ফলে কৃষকেরা আর্থিক সংকটে পড়েছে। ফলে এর প্রভাব আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে পড়েছে। বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসা কম হওয়ার কারণে লাভ কমে গেছে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close