রাকিবুল ইসলাম রাকিব, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)

  ১১ আগস্ট, ২০২২

তাঁতকুড়া গ্রামের শিশুদের একটি সুন্দর বিকাল

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করতে গিয়ে শিশুদের সঙ্গে আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর ইউএনও হাসান মারুফ ও এসিল্যান্ড নিকহাত আরা। উপজেলা প্রশাসনের এই দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কাছে পেয়ে শিশুরাও আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে। শিশুদের এই আনন্দঘন পরিবেশ দেখতে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারাও।

রবিবার বিকালে ইউএনও ও এসি ল্যান্ড উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের তাঁতকুড়া গ্রামে মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরির্দশনে যান। তাদের বহনকারী সরকারি দুটি গাড়ি যখন গ্রামের সড়ক হয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের দিকে আসছিল তখন গাড়ির পেছনে পেছনে ছুটতে ছুটতে গ্রামের একদল শিশু আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে আসে।

এসময় ইউএনও ও এসিল্যান্ড গাড়ি থেকে নেমে শিশুদের সাথে হাসিমুখে ছবি তোলেন। পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দেন তাদের মাথায়। কোন ধরণের আড়ষ্টতা ছাড়াই শিশুরাও কিছুক্ষণের জন্য আনন্দে মেতে উঠে তাদের সাথে। সেই আনন্দে যোগ দিয়ে এই দ্ইু কর্মকর্তাও শিশুদের সাথে গল্প জুড়ে দেন। জানতে চান শিশুদের মধ্যে কে কোন শ্রেণিতে পড়ে, কার কী স্বপ্ন, কার কী পছন্দণ্ডঅপছন্দ। পরে শিশুদেরকে গ্রামের দোকানে নিয়ে গিয়ে চকলেট ও বিস্কুট উপহার দেন।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজিয়া আক্তার বলেন, সড়কে গাড়ি দেখে আমরা সবাই দৌড়ে পেছনে ছুটতে থাকি। কিন্ত যখন গাড়ি থেমে যায় তখন ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু স্যার ও ম্যাম গাড়ি থেকে নেমে আমাদের আদর করে কাছে ডেকে নেন। সবার সাথে ছবি তোলেন, তখন সবার ভয় কেটে যায়।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানা বলেন, স্যার ও ম্যাম আমাদের সবাইকে চকলেট ও বিস্কুট কিনে দিয়েছেন। পড়শোনা করে কে কি হতে চাই জানতে চেয়ছেন। আমাদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করেছেন। আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

এসি ল্যান্ড নিকহাত আরা বলেন, শিশুরা হলো সুন্দরের প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক ও আনন্দের উৎস। ওদের সাথে গল্প-কথা বলতে বলেতে কিছুক্ষণের জন্য নিজেও যেনো ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। যখন বিদায় নিয়ে ফিরে আসছিলাম তখন বারবার শিশুদের মুখগুলো চোখে ভাসছিল।

ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে শিশুদের সাথে একটা সুন্দর বিকাল কাটাতে পেরে নিজের ভেতর অন্যরকম ভালো লাগা কারজ করছে। যতক্ষণ ওদের সাথে ছিলাম, ততক্ষণ নিজেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা মনে হয়নি। ফিরে আসার সময় ওরা যখন হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছিল তখন মনের অজান্তেই চোখের কোনে পানি চলে আসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close