শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৮ আগস্ট, ২০২২

শ্রীনগর গণপূর্ত বিভাগ

আবারও ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের আয়োজন

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আবারো গণপূর্ত নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট করছে প্রভাবশালী একটি ভূমি সিন্ডিকেট। দখল করা ওই জায়গার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রমিজউদ্দিন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ জায়গা দখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

জনা গেছে, উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের কুশুরীপাড়া মৌজায় ২নং খতিয়ানের আরএস ৪১ ও ৬৭নং দাগে ১০৪ শতাংশ জমি মাটি ভরাট করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভরাট করা জায়গায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তরিঘড়ি করে সরকারের এ জায়গা দখলে চলছে মহোৎসব। প্রায় ২ মাস আগে ওই জায়গার দক্ষিণ দিকে মিল্ক ভিটার পূর্ব পাশে গণপূর্তের অপর একটি জায়গা ভরাট করা হয়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জায়গাটি উদ্ধার করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীনগর-দোহার আন্ত:সড়কের বাইপাশ মোড়ের সামনে সড়কের উত্তর পাশে বালু ভরাট করার পাশাপাশি বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেওয়া কর্মযজ্ঞ চলছে। ড্রাম ট্রাকে করে দূর থেকে এখানে বালু আনা হচ্ছে। ড্রাম ট্রাকের বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে সড়কজুড়ে ধূলোবালির সৃষ্টি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুশরীপাড়া মৌজায় ২নং খতিয়ানের মোট ১৪টি আরএস দাগে মোট সম্পত্তির পরিমান ১২ একর ২৫ শতাংশ। এসব সম্পত্তির মালিক গণপূর্ত নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে যেন কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রমিজউদ্দিন বেপারীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই জায়গা দখলের জন্য ভরাট করিনি। এখানে বালু রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য। তাহলে সরকারি ওই জায়গায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি এ প্রশ্নের কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি।’

এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খাইরুজ্জামান জানান, এর আগে মিল্ক ভিটার পাশের দখল করা জায়গাটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এর বিপরীত পাশে জায়গা দখল করা হচ্ছে। আমরা হেড অফিসের বড়বাবুকে নির্দেশ দিচ্ছি, দ্রুত চিঠি পাঠানোর জন্য। তার পরেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close