আরিফ তুষার, লালমোহন (ভোলা)

  ০৭ আগস্ট, ২০২২

তিন বছর ধরে নেই চিকিৎসক

ভোলার লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসবা। ১০ বেডের এ কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক শিশু ও প্রসূতি মায়েরা সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর ধরে এখানে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। ভোগান্তির শিকার এসব রোগীদের দাবি দ্রুত এ কেন্দ্রটিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেওয়া হোক।

সরেজমিনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিশু ও প্রসূতি মায়েরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে ১০টি বেড থাকলেও চিকিৎসক সংকটের কারণে বেডগুলো খালি পড়ে আছে। আবার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ অবধি একটি এ্যাম্বুলেন্সও জুটেনি এ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে। সেবা না পেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর একমাত্র ভরসাস্থল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির বারান্দা থেকে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মো. নাসির ও সাথী বেগম দম্পতি জানান, পেগন্যান্সি সমস্যা নিয়ে এখানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখি ডাক্তার নেই। তাই আর ডাক্তার দেখাতে পারিনি। এখন বেসরকারি ক্লিনিকে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আমাদের মত নিম্ম-মধ্যবিত্তরা প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে পারি না, ওইখানে অনেক টাকা খরচ। আবার কখনও কখনও ভোলা সদরেও যেতে হয়।

কেন্দ্রটির পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মিরা রানী দাস জানান, আমাদের এখানে যেসব প্রসূতি মায়েরা আসেন, আমরা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করি। তাদেরকে আমরা নরমাল ডেলিভারিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তবে জটিল ডেলিভারি হলে আমরা করতে পারি না। ফলে এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ জানান, ওই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে শিগগিরই একজন চিকিৎসক দেওয়া হবে। চিকিৎসকের পদায়ন হলে আর এ সমস্যা থাকবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close