আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০৪ জুলাই, ২০২২

কামার শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগের দাবি

আমতলীতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। রাতভর টুংটাং শব্দে লোহার যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত তারা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তারা দা, কুঠার, ছেনি, চাপাতি, কাটারী ও ছুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। একটু ফরসুত নেই তাদের।

কোরবানী গবাদিপশু জবাই করতে এবং মাংস তৈরীতে দা, কুঠার, ছুড়ি, চাপাতি ও কাটারি বেশি প্রয়োজন। এ যন্ত্রপাতি তৈরিতে বরগুনার আমতলী, তালতলী উপজেলা ও হাট বাজারের কামার পাড়ায় রাতভর টুংটং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন দম ফেলারও সময় নেই পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের কামার পাড়ার শিল্পীদের। দিনরাত সমান তালে লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রতিটি কামারপাড়া।

কামারপাড়া গুলোতে টুংটাং শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে, আর কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি অত্যাবশ্যকীয়। সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত আর এর উপকরণ তৈরি ও শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজে ব্যস্ত কামাররা।

পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ঢুঁ-মারছেন। আবার কেউ কেউ পুরানো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানান কামাররা।

উপজেলার গাজীপুর বাজারের মিলন কর্মকার বলেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এই কাজ করছি। ঈদকে সামনে রেখে পাইকারী দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে এই সময়ে আমাদের কদর বেশ ভালই থাকে। আমতলী কর্মকার সমিতির সভাপতি পরিতোষ কর্মকার বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তি’র বিকাশ ঘটায় গ্রাম বাংলার কামার শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারীভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close