লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইলেকট্র্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুন রশিদ নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জজ ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান মিস্ত্রি ছিলেন। দণ্ডিত হারুনুর রশিদ উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের মো. হযরত ব্যাপারীর ছেলে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কালাম ওরফে কালু ব্যাপারী, জাহিদ ওরফে আবুল কাশেম, তোফায়েল পালোয়ান ও আক্তার হোসেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মামলায় বলা হয়, আসামি হারুনুর রশিদ পার্শ্ববর্তী বেড়ির পাশে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় জলিলকে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন বেলা ১১টার দিকে আওয়াল দেওয়ানের ধানখেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজ সর্দার ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি মামলা থেকে আক্তার হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে ৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে খালাস ও যুবক হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেয়।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

"