পঞ্চগড় প্রতিনিধি
ধর্ষণচেষ্টার মামলা করায় বিপাকে ভুক্তভোগী পরিবার
পঞ্চগড়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এক তরুণী।
ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, থানায় মামলা দায়েরের পর আসামিরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের গড়িমসির কথাও জানান তারা। ঘটনাটি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এলাকার।
গত ১ জুন প্রেমিক নয়ন ইসলামকে প্রধান করে ছয়জনের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। অভিযুক্ত নয়ন ইসলাম দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ ঢাকাইয়াপাড়া এলাকার ইমরুল কায়েস চৌধুরীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের আশ্বাসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে নয়ন। সেই সূত্র ধরে নয়ন গত ২০ মে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত নয়ন পালিয়ে যায়। পরে একই দিন বিকেলে নয়নের বাড়িতে গিয়ে ভুক্তভোগী ঘটনা খুলে বললে নয়নের পরিবারের লোকজন মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
ওই তরুণী জানায়, দুজন একই কলেজে পড়ালেখার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত দেখা হতো। এক পর্যায়ে নয়ন প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে তাকে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় নয়ন। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত নয়নের পরিবার। মোবাইল ফোনে তার বাবা ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। আমার ছেলে ওই মেয়ের চেয়ে চার বছরের ছোট। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না। আর ওই তরুণীকে কোনো মারধর করা হয়নি বলেও জানান তিনি। দেবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
"