রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

  ২৫ জুন, ২০২২

কুকুরের ধাওয়ায় অতিষ্ঠ জনজীবন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরে দিন দিন বাড়ছে কুকুরের উপদ্রব। সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় দমন করা হচ্ছে না কোনো কুকুর। হচ্ছে না কোনো প্রতিরোধ বা প্রতিকার। ব্যবহার করা হচ্ছে না কোনো যন্ত্র বা ভ্যাকসিন।

পৌর শহরের প্রতিটি সড়কে রয়েছে কুকুরের এক একটি দল। প্রায় প্রতিটি সড়কে দেখা যায় চার থেকে পাঁচটি বা সাত থেকে আটটি করে কুকুর। তেমনি করে উপজেলা গেটে কিংবা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বসে থাকে। আবার দেখা যায় রায়পুর থানার ভিতরে বা গেটের সামনে। এছাড়াও রায়পুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগী আসেন সরকারি হাসপাতালে বা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগী বা সাধারণ মানুষ কুকুরের ধাওয়ায় বা কামড়ের ভয়ে আতঙ্কে থাকেন। এছাড়াও হাটবাজারে চলাচলকালে বা বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ সবসময় কুকুরের ভয়ে থাকেন।

রায়পুর পৌর ৪নং ওয়ার্ডের আ.লীগের সাধারণ সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক মাসে কুকুরের কামড়ে আমার ১৭টি ছাগল মারা গেছে।

রায়পুর উপজেলা সরকারি হাসপাতালের ডা. মাহমুদ হাসান সিদ্দিক বলেন, কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এবং টিটেনাস টিকা না দিলে কামড়ের স্থানে পচন হতে পারে। জলাতঙ্ক একবার হয়ে গেলে সেই রোগীর মৃত্যু অবধারিত।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে কুকুর হত্যা না করে ম্যাস ভ্যাক্সিনেশন করা হয়ে থাকে। গত ২০২০ সালে এই ভ্যাক্সিনেশন করা হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক বছর আগে পশুপ্রেমী কিছু সংগঠন আদালতে রিট করে বেওয়ারিশ কুকুর হত্যার বিরুদ্ধে। রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কুকুর মারার জন্য কোনো ভ্যাক্সিন বা যন্ত্র ব্যবহার করতে পারি না। এছাড়াও অযথা কুকুরের সঙ্গে ঝামেলা না করা, কুকুরের বাচ্চা নিয়ে দুষ্টামি না করা। এসব থেকে বিরত থাকার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close