কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

  ২৫ জুন, ২০২২

আগাম আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

চলতি বছরে আগাম ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর

ভুট্টা কাটা-মাড়াই শেষ করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম জাতের আমন ধানের চারা রোপণে ধুম পড়েছে। যেসব জমি উচু এবং আগাম আলু চাষে উপযোগী সেসব জমিতে হালচাষ দিয়ে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে স্বল্প জীবনকাল ১০৫-১১০ দিনের উচ্চফলনশীল বিনা ১৬, ২০ ও বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড জাতসহ উফসি ব্রি-৭৯, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫ জাতের ধান চাষ করছেন কৃষকরা।

সরেজমিন ৯টি ইউপি ঘুরে দেখা যায়, একখন্ড জমি অনাবাদি না রেখে মাঠের পর মাঠ জমিতে হচ্ছে এর চাষাবাদ। এ সময় বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুড়াকুটি হাড়িবেচা পাড়া গ্রামের আমনচাষি ছফিল উদ্দিন জানান, ভুট্টার পর ১০ বিঘা জমিতে আগাম আমন চাষ করছেন। প্রকৃতির বৃষ্টি নির্ভর এ ধান চাষে খরচ কম, উৎপাদন ভাল। ১০৫-১১০ দিনে ফসল ঘরে উঠে। বিঘায় ১৮-২৫ মন ধানের ফলন হয়। ফলন ও ভাল দাম পেয়ে লাভবান হওয়া যায়। খড় বিক্রি করে চাষের খরচ উঠে যায়। ধান কেটে আগাম আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল করা যায়।

মধুপুর গ্রামের কৃষক হাসেম আলী বলেন, আগাম জাতগুলো চাষ করে মরা আশ্বিন-কার্তিক মাসে ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকের ঘরে খাবার থাকে। ফলন ছিল বিঘায় ৫-৬ মন। তখন এ অঞ্চলে মঙ্গা বা আকাল ছিল। এখন জীবনকাল কম হওয়ায় আশ্বিন-কার্তিক মাসে ফসল ঘরে উঠে। এতে মঙ্গা বিতাড়িত হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, উচ্চফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম ফসল ঘরে উঠায় মঙ্গার সময় খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের জাতগুলোর জীবনকাল বেশি হওয়ায় কৃষকরা বছরে দুটি ফসলের বেশি চাষাবাদ করতে পারত না। এ অঞ্চলের মাটি উচু এবং বেলে-দোআঁশ হওয়ায় আগাম আলু ও আমন চাষে খুবই উপযোগী। ধান কাটার পর কৃষকরা সহজে ১-২ বার আলু চাষ করে থাকে। কৃষকরা আগাম আলুতে অধিক লাভবান হন। এতে এ ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close