নেত্রকোনা প্রতিনিধি

  ২৩ জুন, ২০২২

দুগিয়া আব্বাসিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

নেত্রকোনা সদর উপজেলার আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ মহি উদ্দীন খান নামে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি অমিত খান শুভ্র। এ বছরের ৫ জনুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিতভাবে এই অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।

অভিযোগে বলা হয়, দুগিয়া আব্বাসিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ মহি উদ্দীন খান ১৯৯২ সালে সম্পূর্ন দুটি আলাদা সনদ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। ওই অধ্যক্ষ আলীম ২য় বিভাগের যে সনদ দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছেন তাতে উল্লেখিত ফল প্রকাশের তারিখ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলীম পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ভিন্ন। এছাড়াও ওই অধ্যক্ষ ২০১৫ সালের ৭ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৩২২ টাকা বেতন উত্তোলন করেছেন। যা সরকারী অর্থ আত্মসাৎয়ের সামিল। তাই তিনি দুদকের কাছে এর সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন খান বলেন, সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। নতুন কমিটি করা নিয়ে দ্বন্দ্বে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। দাখিলকৃত সকল কাগজপত্রই ঠিক রয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি অমিত খান শুভ্র বলেন,

এই অধ্যক্ষকে জালজালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে আমি বিভিন্ন জনের কাছে তার সনদ জাল থাকার বিষয়টি

অবগত করি। পরে বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকের কাছে অভিযোগ দাখিল করি। কারণ আমি যেহেতু তৎকালীন সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম যে কারণে এই বিষয়টি আমার অগচরে হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর অভিযোগের বিষয়ে বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি ও নেত্রকোনা সদর ইউএনও মাহমুদা আক্তার বলেন, ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close