সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

  ২২ জুন, ২০২২

সৈয়দপুর শহরে দেদার চলছে মাদক কেনাবেচা

মাদকের শহরে পরিণত হতে চলেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর। ব্যবসায়ীরা তাদের নির্ধারিত স্থানে মাদক বিক্রি না করে মোবাইলের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রি করে চলেছেন। পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে যৎসামান্য গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করলেও দাগি মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে পারছেন না। ফলে বন্ধ হচ্ছে না মাদক কেনাবেচা।

শহর বা গ্রামের মানুষের অভিযোগ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। কিন্তু জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে মাদক বিক্রেতার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলায় তারা চোখণ্ডকান বন্ধ রেখেছেন। তবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই মাদক সেবকদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড করলেও বিক্রেতারা রয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

শহরের বেশকিছু মাদক সেবক জানান, দীর্ঘদিন থেকে সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়ার পুরাতন পোস্ট অফিস সংলগ্ন, হাতিখানা কবরস্থান, গোলাহাট, ঢেলাপীর, রেলওয়ে স্টেশন, মুন্সিপাড়া, ৮নং ওয়ার্ডের স্মৃতিস্তম্ভ এলাকা, আদানী মোড়, বাস টার্মিনাল ও মিস্ত্রিপাড়ায় মাদকের কেনাবেচা চলে আসছিল। কিন্তু পুলিশ অভিযান চালানোর ফলে মাদক বিক্রেতারা বর্তমানে মোবাইলের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক কেনাবেচা করছে।

একটি সূত্র জানায়, সৈয়দপুর শহরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলা মদের ভাটি থেকে প্রায় প্রতিদিনই পাইকারিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে ব্যারেলভর্তি মদ। হিন্দু বা সুইপাররা ওই ভাটিতে বসে মদ পান করার নির্দেশনা থাকলেও সেখানে সব ধরনের মানুষই ভিড় করছেন বাংলা মদ সেবনের জন্য। সূত্রটি আরো বলে, বাংলা মদে যেন পানি দিতে না পারে এজন্য ভাটির ভিতরে টিউবওয়েল স্থাপন করা যাবে না। খুচরা ছাড়া কোনোভাবে ভাটির বাইরে মদ বিক্রি করতে পারবে না। কিন্তু ভাটির মালিক সেখানে না থাকায় জসিম নামের এক সেলসম্যান বাংলা মদে পানি দিয়ে প্রতিদিন ভাটির বাইরে পাইকারিভাবে ব্যারেল ব্যারেল মদ বিক্রি করে চলেছেন। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের সঙ্গে সখ্য থাকায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন জসিম নামের ওই ব্যক্তি।

নীলফামারীর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ জানান, মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তাদের কোনো সখ্য নেই। শুধু জনবল সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্যেও কঠোর ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। এ কারণে মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে সৈয়দপুর শহর। অল্পদিনের মধ্যেই অভিযানে নামবেন বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জনবল সংকট থাকায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। ফলে বাধ্য হয়েই পুলিশ মাদকমুক্ত সৈয়দপুর করতে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close