চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৮ মে, ২০২২

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে হুমকির মুখে দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির একাংশ বিলীন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভবন যে কোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ভবনটি রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, মূল ভবনটি ২০২০ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর থেকে হস্তান্তর করা হয়। ভবনটি হস্তান্তরের আগে থেকেই এর পশ্চিমে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথে থাকা এর তীরবর্তি বসতভিটা ও জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা দিন দিন ভাঙছে। গত কয়েকদিনের উজানের ঢলের পানিতে ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে বিলীনের অপেক্ষায় বসতভিটাসহ ওই ইউনিয়নের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

স্থানীয়রা জানান গত বছর তীব্র ভাঙনে নয়ারহাট ইউপির শতাধিক পরিবার বাস্তুহারা হয়। ভাঙনে বিলীন হয় ওই কলেজের একাংশ। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করলে নামমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়। গত এক বছরে ভাঙনের কবল থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এ বছর আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে ইউনিয়নের একমাত্র ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ভাঙনে প্রতিষ্ঠানটির কিছু অংশ নদের গর্ভে চলে গেছে। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির একটি ভবনের টিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থী তৌহিদ আহমেদ জানান, ভাঙন আতঙ্কে কলেজের উত্তর দিকের বেশ কিছু বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন বাসিন্দারা। ভাঙন থেকে স্থানীয়দের বসতি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনও উদ্যোগ নেই। বর্ষায় ভাঙন শুরু হলে বালুর বস্তা দিয়ে কিছু তৎপরতা দেখা গেলেও শুকনো মৌসুমে সব থেমে যায়।

কলেজ অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম মন্ডল জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি বিলীন হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বিঘিœত হবে। নতুন এই ভবন থেকে আর মাত্র ১০০ ফুট দূরে আগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র। যেভাবে ভাঙছে তাতে যেকোনও সময় নতুন ভবনটিও বিলীন হতে পারে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অনুরোধ করেও কোনও কাজ হয়নি।

নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, প্রশাসনকে সব সময় জানাচ্ছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ মনে করে চরের ভাঙন স্বাভাবিক। ফলে ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এভাবে চললে আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে কয়েকশ হেক্টর আবাদি জমিসহ শতাধিক বসতভিটা বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে হয়তো রিলিফ দেবে, আর কিছু হবে না।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ভবনটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close