লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৫ মে, ২০২২

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলঘর

খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা নাছির মোহাম্মদপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের পুরো ভবনটি কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালাতে হচ্ছে। মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক মুুহাম্মদ ফিজনূর রহমানের আন্তরিকতায় শিক্ষানুরাগী মুুহাম্মদ সাইফুল আলমসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়ের জন্য অনেক জায়গায়ও এলাকার মানুষ দানপত্র করে দিয়েছেন। প্রতিবছরে বিদ্যালয়ের পিএসসি পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০ জন। শিক্ষকের সংখ্যা ৪ জন। গত কয়েকদিন আগে রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় হয়। এতে বিদ্যালয়ের পুরো টিনের ভবনটি উড়ে যায়। ঝড়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে শ্রেণি কক্ষে ক্লাস চলার কোন সুযোগ নাই। ফলে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস চলাতে হচ্ছে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাঘাত ঘটছে।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম জানান কাল বৈশাখীর ঝড়ের কারণে আমাদের বিদ্যালয়ের পুরো টিনের ভবনটি গুড়িয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। আমরা অতি কষ্টে ক্লাস করছি। কতক্ষণ রোদ, আবার বৃষ্টি হলে স্কুল থেকে ভিজে বাড়ীতে চলে যেতে হয়।

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মফিজুর রহমান জানান ইতিপূর্বে বিদ্যালয়টি কয়েকবার ঝড়ে একই অবস্থা হয়েছিল। টিনের ছাউনি দিয়ে ভবনটি হওয়ার কারণে বার বার এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়টি নতুন করে পাকা বিল্ডিং ব্যবস্থার জোর দাবী জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কিশোর চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। ভবনটি ভেঙে যাওয়ার কারণে খোলা আকাশের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুুহাম্মদ সাইফুল আলম জানান, কয়েকদিন আগে কালবৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের পুরো ভবনটি ভেঙে গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করাতে হচ্ছে। শিক্ষার মানে চরম ব্যাঘাত সৃষ্ঠি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ ও নতুন ভবনের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার দিয়ে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের পাঠাতে হয়েছে। বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ ও একটি ভবন পেলে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাঠদান করতে অনেক বেশী উপকৃত হবে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মোসলিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতি বছরে ভাল ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ঝড়ে পুরো টিনের ভবনটি গুড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close