পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সেতুতে বাঁশের চাটাই দিয়ে চলাচল
পলাশবাড়ী উপজেলার একটি সেতু ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বরিশাল ইউনিয়নের উত্তর ছপছের বিল ও দক্ষিণ পানাগাড়ী মধ্য সাবদিনের মরিচাপুর গ্রামে রাস্তার সেতুটি ভেঙে গেছে। এটির মাঝামাঝি ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের চাটাই বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষ চলাচল করছে। যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। তাদের দাবি দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ হলে মানুষের যাতায়াত ভোগান্তি কমবে।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি-২ বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ওই ইউনিয়নের মরিচাপুর গ্রামে রাস্তায় ওই সেতটিু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নিম্মমানের কাজ করায় ৪ বছর পরই এর মাঝামাঝি ভেঙ্গে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশা মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়লে চলাচলের জন্য বাঁশের চাটাই বিছিয়ে ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। দীর্ঘ ২ বছর পেড়িয়ে গেলেও এটির সংস্কার কিংবা কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে চলাচলে পথচারীদের যেকোন মুর্হুতে বড় ধরনের দূর্ঘটনায় পড়তে পারে। তাই সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে দাবি জানান এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, ভোগান্তির যেন শেষ নেই। প্রতিদিন এই সেতুর উপর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এছাড়া বাঁশের চাটাই বিছানো ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে ভারী কোন যানবাহন বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, অটো-চালিত ভ্যান, মাল বোঝাই ভ্যান চলাচল করতে পারে না। ওইখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
ওই এলাকার কৃষক আ. মজিদ মিয়া ও চেংটু মিয়া জানান, কাজটি নিম্মমানের জন্য সেতুটি অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে গেছে। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে আর দুর্ভোগ থাকবে না। এ বিষয়ে প্রশাসনসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, সেতু তৈরিতে নিম্নমানের কাজ আগের ইউনিয়ন পরিষদ করেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত ওইখানে একটি সেতু নির্মান করা হবে। এতে ওই এলাকার মানুষের সমস্যা দূর হবে বলে জানান তিনি।
"