নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৫ মে, ২০২২

চরাঞ্চলে সম্ভাবনাময় ফসল কাউন

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন নদণ্ডনদীর চরাঞ্চলে চাষ হচ্ছে সম্ভাবনায়ময় ফসল কাউন। স্থানীয় ও বারী জাতের এ কাউনের ভালো ফলন হয়েছে। ফসলটির বর্তমানে কদর বেড়ে যাওয়ায় দুই তিন বছর থেকে পুনরায় চাষ হচ্ছে উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নের চরাঞ্চলে।

এ মৌসুমে উপজেলার দুধকুমার নদীর চরাঞ্চল বামনডাঙ্গা, বল্লভের খাষ ইউনিয়ন এবং গঙ্গাধর নদীর চরাঞ্চল কচাকাটা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কাউন চাষ হয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ফান্দের চর, বেইল্টা পাড়া, কচাকাটা ইউনিয়নের শৈলমারী, ধনিরামপুর, কাইয়ের চর জালির চর উল্লেখযোগ্য।

জানা গেছে, কাউনের চালের পায়েশ সুস্বাদু হওয়ায় চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি কাউনের চাল বিক্রি হয় ১৫০ থেকে থেকে ২০০ টাকায়। চাহিদা সম্পন্ন এই ফসল চাষ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে চরাঞ্চলের জনপদে।

কাউন চাষিরা জানান, এই ফসল একসময় গবাদী পশুর খাবার হিসেবে চাষ হতো। তবে এখন শিশু এবং পাখির খাদ্য তৈরিতে এর চাহিদা বেড়েছে। ফলে চরাঞ্চলের পতিত এবং বালুময় জমিতে আবার এর চাষ বেড়েছে। শুকনো মৌসুমের এই ফসল চাষে বিঘে প্রতি ২ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে বিঘে প্রতি ৭-৮ মণ কাউন উৎপাদন হয়। মণ প্রতি কাউন ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অপরদিকে বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করলে এর দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণ। তখন কেজি প্রতি দাম ১০০ টাকা হয়। কচাকাটা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, এ বছর দুই বিঘা অনাবাদি জমিতে স্বল্প খরচে কাউন বুনেছেন। আবাদ ভালো হয়েছে। তাই আশানারূপ ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুমেদপুর এলাকার কৃষক মামুন মিয়া জানান, জমিতে একবার হাল চাষ করে কাউনের বীজ ছিটিয়ে দেওয়ার পর একবার নিড়ানি দিয়েছেন। এতে তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। ফলন ভালো পেলে খরচের তুলনায় কয়েক গুণ লাভ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে ২০ হেক্টর জমিতে দেশি ও উন্নত জাতের কাউন আবাদ হয়েছে। খড়া মৌসুমে আবাদযোগ্য এই ফসল চাষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close