হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০২২

চেংখালী খালের স্লুইসগেট ধসে সড়ক বিলীন

চট্টগ্রামের হালদা নদীর সংযোগ চেংখালী খালের স্লুইস গেইট জোয়ারের তোরে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হাটহাজারী ও রাউজান দুই উপজেলার অংকুরীঘোনা-গড়দুয়ারা হালদা নদীর বেড়িবাঁধ কাম সড়কে জন ও গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এ সড়ক পথে চলাচলকারী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। স্লুইস গেইট বিলীন হওয়ায় পশ্চিম গড়দুয়ারা ও পূর্ব মেখল এলাকার জমিতে ফসল উৎপাদন নিয়ে কৃষকের শঙ্কা।

জানা গেছে, বর্ষায় প্রবল বর্ষনের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি চেংখালী খালে ঢুকে যাতে বন্যা সৃষ্টি না হয় এবং শুস্ক মৌসুমে জোয়ারের পানি খালের ভিতর নিয়ে চাষাবাদ করতে পারে সেজন্য ওই স্লুইস গেইট নির্মাণ হয়। বিগত বছর খানের পূর্ব এই স্লুইস গেইটের পার্শ্ব একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। গর্তটি ক্রমে বড় হয়ে গেইটটি সম্প্রতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার লোকজন বেড়িবাঁধ কাম সড়কটিতে চলাচলে তাদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। তাছাড়া বিলীন হয়ে যাওয়া স্লুইস গেইট দিয়ে জোয়ারের পানি খালের ভিতরে ঢুকে পশ্চিম গড়দুয়ারা ও পূর্ব মেখল এলাকার বিপুল পরিমাণ কৃষি জমির ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মৌসুমী তরিতরকারি জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। গেইটটি পাড়ি দিয়ে যারা জমিতে চাষাবাদ করত তারা যাতায়াতের অভাবে নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারবে না। ফলে অনেক ফসলী জমি অনাবাদি থেকে যাবে। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে।

কৃষক মো. ইয়াকুব ও আব্দুল কাদের জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের পশ্চিমাংশে তাদের কৃষিজমি রয়েছে। স্লুইসগেট ধসে পড়ায় তাদের জমির সব ফসল জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। মাসখানেক আগে থেকেই ছোট ছোট ফাটল দেখা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসারসহ অনেকে গিয়ে পরিদর্শন ও ছবি তুলে সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি তারা। সড়ক ভেঙে জোয়ারের পানির কারণে গেট সংলগ্ন একটি নূরানী মাদরাসার পাঠ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হবে মেখল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। তারা দ্রুত সমস্যা সমধানে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মো. শহীন বাদশা ও শৈমন সিং বলেন, স্লুইস গেইট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ধসে পড়া স্লুইসগেটটি তুলে নেওয়া হবে। স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পরির্দশন করা হয়েছে। সার্ভে রির্পোট মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। আশা করি চলতি বর্ষার পর স্লুইসগেট ও বেড়িবাঁধটি সংস্কারের কাজ করা হবে।

ইউএনও মোহাম্মদ শাহিদুল আলম বলেন, স্লুইস গেইট ও সড়কটি ধসে পড়া নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সংস্কারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close