গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০২২

গোবিন্দগঞ্জ কামদিয়া ডিগ্রি কলেজ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কামদিয়া নূরুল হক ডিগ্রি কলেজের তিনতলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরিণত হয়েছে। প্রায় এক-দেড় মাস আগে ভবনের এক পাশ দেবে যায়। এতে ভবনের বিভিন্ন অংশে অর্ধশতাধিক জায়গায় ফাটলসহ বিভিন্ন অংশে পলেস্তার খসে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার স্বাধীনতার পর কামদিয়া এলাকার শিক্ষানুরাগী নুরুল হক ১৯৭২ সালে কামদিয়া এলাকায় কামদিয়া নূরুল হক কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরে কলেজটি ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হয়। টিনের চালা এবং টিনের বেড়া ঘরে দীর্ঘদিন কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে। এরপর সরকারের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের অনুদানে ১৯৯৪ সালে একটি একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এই এলাকার ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের পরিচালক শেখ সিদ্দিক আব্দুল মান্নান। এ ভবন নির্মানে তখন কোন আরসিসি পিলার ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র ইটের গাথুনি দিয়ে ভবনটি নির্মাণ হয়। পরবর্তীতে এই ভবন তিন তলা ভবনে রুপান্তরিত করা হয়। এই ভবনের নীচতলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অফিস রুম, দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং দোতলা ও তিনতলায় বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত থাকে। কলেজে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর অনেক ক্লাসই দোতলা ও তিনতলায় হয়ে থাকে। কিন্ত হঠাৎ এক-দেড় মাসে আগে তিন তলা ভবনের একপাশ দেবে যাওয়ায় ভবনের বিভিন্ন অংশে প্রায় অর্ধশতাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে ওই ভবনটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ন হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূঘর্টনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাসরুমের বিভিন্ন জায়গায় ফাটর ধরেছে এবং পলেস্থার খসে পড়ায় ভবনটি ঝুকিপূর্ন হয়ে দাড়িয়েছে। এতে তাদের ক্লাস করতে ভয় লাগে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূঘর্টনার আশংকার মধ্যে আমাদের ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস নাহিদুল ইসলাম জানান, আরসিসি পিলার না থাকায় তিন তলা এ ভবনটি একপাশ দেবে গেছে। ভবনের দেওয়াল-ছাদের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। মাঝে মধ্যে পলেস্তারা খসে পড়ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও, শিক্ষা অফিসার, গাইবান্ধা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। ইউএনও মো. আরিফ হোসেন জানান, ঝুকিপূর্ন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস হচ্ছে। এ বিষয়ে লিখিত আবেদন পেয়েছেন তিনি। এ ব্যাপরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close