বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০২২

নিত্যপণ্য মূল্যের নেপথ্যে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট

জুন মাসের বাজেটকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালীর বাউফলের বাণিজ্যিক বন্দর কালাইয়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য মজুদ করেছে কতিপয় অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। এ মজুদ করা পণ্য ঢাকা, ঝালকাঠি মোকামে মালামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দ্বিগুণ লাভে বিক্রি করছে লক্ষাধিক পাইকারি ও খুচরা দোকানিদের কাছে। এতে চরম বিপাকে পড়ছে খেটে খাওয়া গরিব ও সাধারণ মানুষ। তবে স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্ট ব্যবসায়ীদের মনিটরিং করলে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারি মোকাম কালাইয়া বাণিজ্যিক বন্দর। এ বন্দরে বাউফল, দশমিনা ও পাশের জেলা ভোলার লাল মোহন, চরফেশনের প্রায় লক্ষাধিক পাইকারি ও খুচরা দোকানিরা নিত্যপণ্য, চাল, ডাল তেল, জালসহ নানা নিত্যপণ্য বাজার ট্রলার বা কার্গোতে ক্রয় করে নিয়ে যায়। পরে এসব ব্যবসায়ি এলাকায় খুচরা ও পাইকারি ছোট ছোট হাট বাজারের দোকানে পণ্য বিক্রি করে থাকে। কালাইয়া বাজারের মার্চেন্ট পট্রির আট ব্যবসায়ি ও বাজার রোডের ১০ চাল ব্যবসায়ি পাইকারি মোকামে নিত্যপণ্য বাড়ছে বলে অজহাত দিয়ে মালামালের দাম দ্বিগুণ লাভে বিক্রি করছে।

হানিফ খাঁ নামের দশমিনার গোপালদি বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ি জানান, ঢাকার বেগম বাজার ও মৌলভীবাজার, চকবাজার, চালের বাজার বাদামতলি, চট্রগ্রাম, ঝালোকাঠি, নারায়ণগঞ্জ থেকে মার্চেন্ট ব্যবসায়িরা নিজস্ব কার্গো ও ট্রলারে কোটি কোটি টাকার নিত্যপণ্য ক্রয় করে কালাইয়া বন্দরে গোডাউনে মজুদ করে। পরে তা ঢাকার মোকামের সাথে যোগ সাজসে বাজার বৃদ্ধি বা বাজেটের অজুহাত দেখিয়ে গোখাদ্য থেকে চাল, ডাল, আলু পিঁয়াজ রসুন আদা, গরম মসল্লাসহ চা, সিগারেটের দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রয় করছে পাইকারদের কাছে। ছোট বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়িরা এসব পণ্য ক্রয় করে যানবাহনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে খুচরা ব্যবসায়িরা গ্রাম পর্যায় ক্রেতাদের কাছে বেশিলাভে বিক্রি করছে এসব নিত্যপণ্য। ফলে এসব পণ্যের বাজার মূল্যের চাপ সামলাতে পারছেনা শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষ। উপজেলার নওমালা নগরের হাটের দোকানি সবুজ জানান, সপ্তাহের দোকানের চাহিদার মাল সোমবার কালাইয়া মোকাম থেকে ক্রয় করে আনেন। কিন্তু প্রতিসপ্তাহে মার্চেন্ট পট্রির মাচেন্ট ব্যবসায়িরা পণ্যের দাম আমদানি নেই বলে দাম বাড়িয়ে চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যবসায়ি মালেক মিয়া জানান, দেশের নিত্যপণ্য মোকামে কোম্পানি বাড়ালে তারা কি করবেন, পারবো ব্যবসা ছেড়ে দিতে। চালের আড়তদার শাহিন বলেন, মোকামে চাইলের আমদানি একটু কম। এ ছাড়া রুটের যানবাহন ভাড়া শ্রমিকদের মজুর দিয়ে এখন ব্যবসা করাই দায়। তবে জুনের পরে দাম কমবে।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. আল আমিন বলেন, কালাইয়া এ অঞ্চলের পাইকারি বড় মোকাম, ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close