বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ১৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জালশুকা হাবিবুর রহমান কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মুরাদুজ্জামান মুকুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুকুল ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এবং এলাঙ্গী বাজারের ওষুধ ও ডেকোরেটর ব্যবসায়ী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রভাষক মুকুল এবং ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার একই ভবনে বসবাস করে। যার কারনে তাদের মধ্যে পরিচয় এবং একে অপরের বাসায় যাওয়া আসা ছিল। গত ৩ মার্চ সকাল ১১টার দিকে প্রভাষক মুরাদুজ্জামান মুকুল প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় যায় এবং সেখান থেকে তাকে জোড়পূর্বক নিজের বাসায় নিয়ে আসে। এসময় দুই বাসায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিল না। নিজের বাসায় আনার পর ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে মুকুল। এছাড়াও ধর্ষনের ঘটনার দৃশ্য নিজের মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ধারন করে। পরবর্তিতে ধর্ষনের ভিডিও দেখিয়ে গত ২৪ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল পুনরায় মুকুল ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষন করে। সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় গিয়ে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে তাকে জড়িয়ে ধরলে সে চিৎকার করে। চিৎকারের শব্দ পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীর খালা এগিয়ে গিয়ে তাকে আটক করার চেষ্টা করে। এসময় মুকুল ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মুরাদুজ্জামান মুকুলকে আসামী করে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলাটি রেকর্ড করে আসামী প্রভাষক মুরাদুজ্জামান মুকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কলেজ শিক্ষক মুরাদুজ্জামান মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

"