ভারতের গুজরাটে স্ত্রীকে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে খুন করেন যশোরের কামরুল ইসলাম (৩০)। এরপর দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। গত বুধবার মধ্যরাতে যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কামরুল ইসলাম সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির ওসি রূপণ কুমার সরকার জানান, কামরুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ফুঁসলিয়ে ভারতের গুজরাট রাজ্যে আটকে রাখেন। সেখানে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসে।

স্বজনরা তার স্ত্রী সালমা খাতুনের অবস্থান জানতে চাইলে স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণ করেন কামরুল ইসলাম। ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় স্বজনদের সন্দেহ হয়। এরপর সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম ১১ মে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।

রূপণ আরও জানান, ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিম উদ্ধারের জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর থানা ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম তদন্তে নামে। পুলিশ জানতে পারেন ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সালমা খাতুনকে হত্যা করে কামরুল দেশে এসে পালিয়ে আছে। গত বুধবার মধ্যরাতে বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী সালমা খাতুনকে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ আরো জানায়, এ সময় আসামির তিনটি পাসপোর্ট, সালমা খাতুনের পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

"