বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২২

কালীপুরে লিচুর বাম্পার ফলন

সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণসমৃদ্ধ লিচু উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত বাঁশখালীর কালীপুর। বহুকাল থেকেই বৈলছড়ি, গুণাগরি, পুকুরিয়া, জলদি, জঙ্গল চাম্বলসহ প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নেই পাহাড়ি সমতলে লিচুর চাষ হয়ে আসছে। সম্প্রতি হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে এ লিচু। এ উপজেলায় অনূকূল আবহাওয়া ও পোকামাকড় আক্রমণ না থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন না হওয়ায় এ বছর লিচুর উৎপাদন হয়েছে বরাবরের চাইতে কয়েকগুণ বেশি। এটির বাম্পার ফলন হলেও দামের কমতি নেই। ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগাম লিচু বাগান ও লিচুর আকার ভেদে প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে প্রথম দিকে দাম বেশি থাকলেও কমে আসবে বলে জানায় বিক্রেতারা। উপজেলার অধিকাংশ হাট বাজারে লিচু ক্রয় করার জন্য মানুষের ভিড় লক্ষনীয়। আবার কেউ বিদেশে লিচু রপ্তানি করতে পাইকারী দামে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

বাগান মালিক আবু ছালেক জানান, ‘গত বছর আমাদের নিজস্ব বাগানে লিচু চাষ করেছি। এ বছর ১ কানি পরিমাণ লিচু বাগান ১৪ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। বাগানে ৩০-৪০টা গাছ আছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে উপযুক্ত দাম পেলে আশা করছি বাগান থেকে লিচু বিক্রি করে ৫০-৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। পাইকারদের কাছে হাজার প্রতি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। অল্প কয়দিন পর চড়া দাম পাব বলে আশা করছি।’

কালিপুরের একটি বাগান থেকে লিচু কিনতে আসা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সারা বছর তো আমরা রাসায়নিক যুক্ত লিচু খেয়ে থাকি। কিন্তু বাঁশখালীর লিচুতে ভেজাল থাকে না। দাম একটু বেশি হলেও এখান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাই।’

এছাড়াও এ বছর লিচু উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানায় লিচু চাষি নাছির ও মালেক। তবে স্থানীয়রা জানান, লিচুর উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টি কম হওয়ায় চাষিরা অনেকটা হতাশ ছিল। কিন্তু চাষীরা মনে করছেন শেষ মুহুর্তে বৃষ্টির দেখা মেলায় প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে লিচু গাছ ক্ষতির আশংকা রয়েছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক জানান, এ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাণিজ্যিক চাষ হয়। এ বছর ফলন বেশি হওয়ায় লিচু চাষিরা খুশি। চাষিদের কৃষি অফিস থেকে যথাযত সহযোগিতা করা হয়েছে। ব্রিটিশ শাসন থেকে কালিপুরে জমিদার বংশের লোকজন বোম্বাই, কোলকাতা, চায়না-থ্রি জাতের লিচু চারা কলম সংগ্রহ করে বাগান করে আসছেন। পরে তা জলদি, পুকুরিয়া, সাধনপুর, চাম্বল, নাপোড়ায় বিস্তৃতি লাভ করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close