চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ১১ মে, ২০২২

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে কচুর লতি চাষ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৩৫ হেক্টর জমিতে কচুর লতি আবাদ হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়। এ বছর তা বাড়িয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে কচুর চাষ করেছেন কৃষকরা। ছায়াতল পতিত জমিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় এ কচু চাষ করে। এ বছর উচ্চ ফলনশীল লতিরাজ, স্থানীয়, কাঠ কচু, পানি কচু ও ইরি কচুসহ একাধিক জাতের কুচুর আবাদ ভালো হওয়ায় লতি বিক্রি শুরু করেছেন তারা।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় ৮০ দশকে প্রচুর কচুর চাষ হত। গত কয়েক বছর ধরে কচুতে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা এ কাজে বেশি উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে। কচুতে তেমন খরচ হয় না। কচু একটি উচ্চ ফলনশীল ফসল। জমিতে লাগানোর পর থেকে ১ থেকে দেড় মাসের মাথায় লতি বিক্রি করা যায়।

উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের আটগ্রামের কৃষক মো. আবু তাহের মোল্লা বলেন, এ বছর ২০ শতক জমিতে কচুর আবাদ করেছি। খরচ তেমন একটা হয়নি। লতি বিক্রিও শুরু করেছি। আশা করি এটি বিক্রি করে অনেক টাকার মুনাফা অর্জন করতে পারব। ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের কৃষক ছোবহান মিয়া বলেন, আমি প্রতিবছর বাড়ির পাশে একাধিক জাতের কচুর আবাদ করি। বিভিন্ন হাট বাজারে লতি বিক্রি করে আমি অনেক টাকা আয় করে থাকি। এ বছরেও ১০ শতক পতিত জমিতে স্থানীয় কচু চাষ করেছি।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা শ্যাঁত শ্যাঁতে জায়গায় কচুর আবাদ করে থাকেন। কচুর তেমন একটা খরচ হয় না। অল্প টাকাতে এর ফলন চাষ করা যায়। সামান্য ইউরিয়া সার ব্যবহারের ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বেশি। কচু চাষে আগ্রহ বাড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close