গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে এক কলেজছাত্রী পাঁচ দিন ধরে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অবস্থান করছেন। ওই পুলিশ সদস্যের নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মোহাম্মদ ছাত্তার ঢালীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।

গত শুক্রবার বিকালে থেকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামে প্রেমিক পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন ওই কলেজছাত্রী। এ সময় তার উপস্থিতি টের পেয়ে জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে পালিয়ে কর্মস্থলে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাড়ি একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে। তিনি ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল বিএম কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি তার বোনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেন।

ওই কলেজছাত্রী জানান, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। হঠাৎ করে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে আমার পরিবার অন্য ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি তার বাড়িতে চলে আসি। আজ পাঁচ দিন চলছে তাদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েও না খেয়ে আছি। এতে অনেকটাই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমাকে ঠিকমতো খেতে দিচ্ছে না, ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে আমি ওই বাড়ির রান্না ঘরে অবস্থান করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বিয়ে না হবে, ততক্ষণ এ বাড়িতেই থাকব।’

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই মেয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় কিছু মানুষ ওই মেয়েকে দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আলম খান বলেন, এ বিষয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছেলের পরিবার সমাধান করছে না। ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অবগত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"