উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বোরো আবাদ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। এ মৌসুমে উপজেলায় ৩০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সলঙ্গা, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এ বছর উপজেলায় ৩০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দশ হেক্টর বেশী জমিতে আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ মেট্রিকটন। উপজেলার প্রায় সব মাঠেই কম বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো ধান ফসলের আবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা বেশি হারে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধানসহ নানা জাতের ধানের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ব্রি-২৯ জাতের ধান সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রি-২৮, ব্রি-৮৯ সহ নানা জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, সলঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আগাম লাগানো বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এছাড়া বাঙ্গালা, কয়ড়া, হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মাঠে কৃষকেরা তাদের আবাদ করা ধান কেটে ঘরে তুলছেন। আঙ্গারু, শহরিয়ারপুর, জগজীবনপুর, গোজা এলাকার মাঠে কৃষকরা বোরো ধান কাটছে। কৃষকরা নানা জাতের বোরো ধান কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে মাড়াই করছেন। এদিকে ধান কাটা কাজে গ্রামীণ দিন মজুরদের চাহিদা দিন যেতেই বাড়ছে।
কৃষক আলিম বলেন, প্রায় সোয়া তিন বিঘা জমিতে হীরা জাতের ধান আবাদ করেছেন। এর মধ্যে বিঘা দুয়েক জমির ধান কেটেছেন। বিঘা প্রতি সাড়ে বাইশ মণ হারে ফলন হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, কৃষকরা উন্নত বিভিন্ন জাতের বোরো ধান আবাদ করেছেন। এ বছর সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যায় রোগ বালাই খুবই কম হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টরের বোরো ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা ধানের ফলন ভালো হারে পাচ্ছেন।
"