ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি সেতুতে ওঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের সর্ব উত্তরে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা গ্রামের নাম শালঝোড়। তিন দিকে ভারতীয় সীমানা। গ্রাম থেকে বের হওয়ার পথ মাত্র একটি। আর এ পথেই গদাধর নদ তবে সেতু থাকলেও তা না থাকার মতো অবস্থা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় ওই পথেই।

এলাকাবাসী জানায়, ২০০০ সালে গদাধর নদের উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণের কয়েক বছর পর বন্যায় সেতুটির পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন থেকে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকায় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে সেতুটিতে বাঁশের চাটাই বিছিয়ে সাঁকো তৈরি করে। আর তখন থেকেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে সেতু পারাপারের কাজ।

স্থানীয় রমজান আলী জানান, ওই সেতু পার হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কালজানী নদ নৌকায় পার হতে হয়। সেখান থেকে আরো প্রায় দুই কিলোমিটার পর শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেতে হয়। সামান্য কাজের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ পৌঁছাতে এবং বাড়ি ফিরতে প্রায় সারা দিন লেগে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, গদাধর নদের পূর্ব পাড়ে শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড় ওয়ার্ড এবং উত্তর ধলডাঙ্গা ওয়ার্ডের একাংশ অবস্থিত। এখানে লোক সংখ্যা প্রায় ১০-১২ হাজার। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিজিবি ক্যাম্প নির্মিত হচ্ছে। প্রতিদিন অনেক মানুষ এ সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভারী কোনো জিনিস পরিবহন করতে ভীষণ কষ্ট হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, নদীভাঙনের কারণে সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরি করে চলাচল করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close