আবু সাইদ খোকন, আমতলী (বরগুনা)

  ২০ জানুয়ারি, ২০২২

খাল খননে চাষে এলো ৬০০ বিঘা জমি

আমতলীতে ১০ হাজার মানুষের স্বস্তি

আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে একটি খাল খননের ফলে হাজারো কৃষক পরিবার ও ১০ হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। চাষের আওতায় এলো ৬০০ বিঘা জমি। এখন আর তাদের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ফলে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।

জানা গেছে, ওই গ্রামের পানি দেওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জমি চাষের পর ফাগুন ও চৈত্র মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির জন্য কৃষকদের অপেক্ষা করতে হতো। আবার বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের কষ্টার্জিত ফসল বাড়িতে নিতে অনেক বেগ পেতে হতো। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এমন দুর্ভোগ দেখে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসির মাধ্যমে খাল খনন করা হয়। খাল খননের পর কৃষকের জমির পানির সমস্যা সমাধানের সহজেই কৃষকরা তাদের জমির ধান বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। ফলে চাষের আওতায় এসেছে প্রায় ৬০০ বিঘা জমি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এখন আর জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে না। খাল খননের ফলে খালে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে কৃষকরা সহজেই জমিতে পানি দিতে পারবেন।

স্থানীয় কৃষক মো. গফুর আকন বলেন, খাল খননের মাধ্যমে আমাদের জমিতে এখন পানি দিতে কোনো সমস্যা হবে না। একই গ্রামের কৃষক ও ইউপি সদস্য অবু সালেহ জানান, খাল খননের মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের পানি সমস্যার সমাধান হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ গাজী বলেন, খাল খনন প্রকল্পের কারণে এখন আর জমিতে পানির অভাব হবে না। খালের দুই পাড়ে রাস্তা হওয়ার কারণে কোলা (বিল) থেকে ধান ঘরে নিতেও অসুবিধা হবে না। এখন ট্রলির মাধ্যমে ধান নিতে পারব। কৃষক মোকলেছ হাওলাদার জানান, খাল খননের আগে জমিতে পানি দিতে হতো। এখন খালের পানি জমিতে ব্যবহার করতে পারবো। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক মুঠোফোনে বলেন, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষকদের পানির সমস্যা ছিল বছরের পর বছর। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে কৃষকদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিএডিসিকে বিষয়টি অবহিত করি। পরে তাদের মাধ্যমে খাল খনন করতে পারায় দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরন করতে সক্ষম হয়েছি। বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোহাইমিনুল ইসালম মুঠোফোনে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষকরা পানি অভাবে দুশ্চিন্তায় থাকতো। ধান বের হওয়ার সময় পানির অভাবে অধিকাংশ ধানেই চিটা হতো। এ বিষয়ে গ্রামের লোকজন আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। খাল খননের মাধ্যমে এলাকার দীর্ঘদিনের এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে। উপকৃত হবে দুপাড়ের ১০ হাজার মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close