মাদারীপুর প্রতিনিধি

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

সেতুতে নেই সড়কবাতি বাড়ছে অপরাধ

যতই দিন যাচ্ছে ততই অকেজো হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আচমত আলী খান সেতুর সড়কবাতি। মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর এ সেতু থেকে সরকার বছরে রাজস্ব আদায় করছে চার কোটি টাকারও বেশি। সন্ধার পর সেতুটিতে নির্মল বাতাস থাকলেও বাতি না থাকায় ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আর এই পরিবেশে ইভটিজিং ও ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। যদিও এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগস্টে সেতুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীন সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যেগে মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর ৬৯৪ দশমিক ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১৩ দশমিক ৩০ মিটার প্রস্থের সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৯৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেতুটিতে লাগানো হয়েছিল শতাধিক সৌর বাতি। কিন্তু বছর না ঘুরতেই বাতিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পরে সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে আবার পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করে ২০২০ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও বর্তমানে জ্বলছে না একটি বাতিও। পাশাপাশি খুঁটি থেকে বেশ কিছু বাতি এরই মধ্যে উধাও হয়ে গেছে। ফলে সন্ধ্যার পর পুরো সেতুজুড়ে দেখা যায় শুধুই অন্ধকার।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটি চালু হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে খুলনা ও বরিশালের যোগাযোগে সড়ক পথে দূরত্ব কমে ১২০ কিলোমিটার। বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম বিভাগসহ বিভিন্ন জেলার প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে সেতুটি দিয়ে। চলতি অর্থবছর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা সেতুর টোলের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করবে সরকার। শরীয়তপুর থেকে ঘুরতে আসা এক স্কুল ছাত্রী জানান, আমরা এখানে প্রায়ই বান্ধবী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুরতে আসি। কিন্তু সন্ধ্যা হলে বখাটেদের উৎপাতে আর থাকতে পারি না। অন্ধকার থাকায় চেহারা দেখে এদের শনাক্ত করাও সম্ভব না। এখানে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো উচিত।

মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বাতিগুলো সৌর বিদ্যুতে জ্বলত। পরে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুই বছর আগে পল্লী বিদ্যুতের সহায়তায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে নতুন বাতি বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে কিছু বাতি নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো পুনরায় মেরামত করে সেতুটি আলোকিত রাখতে আবার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ইভটিজিং রোধে সেতুর দুই পাশে তৎপরতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া সেতুতে বসানো বাতি কেন জ্বলছে না এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close