রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

টাকা ছাড়া মেলে না প্রশংসাপত্র

রাঙ্গাবালীতে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ

রাঙ্গাবালীতে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে প্রশংসাপত্র প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রশংসাপত্র নিতে গেলে তাদের জন প্রতি ৫০০ টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা ৪০০-৫০০ টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রশংসাপত্র ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। এই সুযোগে তাদেরকে জিম্মি করে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক শিক্ষার্থীরা। এরি মধ্যে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে টাকার বিনিময়ে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী প্রশংসাপত্র নিয়েছে।

ওই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী রাজিব দাস জানান, ফলাফল প্রকাশের দুই দিন পরে স্কুলে প্রশংসাপত্র আনতে গিয়েছি। তখন টাকা নিয়ে যায়নি বলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্র ছাপানো নেই বলে পরের দিন যেতে বলেন। স্যারের কথা মতো পরের দিন স্কুলে গেলে প্রশংসাপত্র বাবদ ৫০০ টাকা চায়। বাধ্যতামূলক টাকা দেওয়া লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি চড়াও হন। নীরুপায় হয়ে সোহরাব স্যারের বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা দিয়ে দুইজনের প্রশংসাপত্র পাই।

ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিন শরত বলেন, ‘টাকা ছাড়া কেউ প্রশংসাপত্র দেয়? ও স্যার আপনারা কি জীবনে আনছেন টাকা ছাড়া প্রশংসাপত্র? আমার একার সিদ্ধন্তে দুইজন মানুষ ছাড়তে পারবো না। আমি যদি জানি একটা মানুষ হত-দরিদ্র, খেতে পায় না, টিচার্সদের সাথে আলাপ আলোচনা করে হয়তো তার থেকে ৫০ টাকা কম নিতে পারি। এছাড়া কোন সুযোগ নেই।’

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অনাদি কুমার বাহাদুর বলেন, প্রশংসাপত্র প্রদানে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। ফরম পূরণের সময় এ বাবদ খরচ নেওয়া হয়।

ইউএনও মাশফাকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close