উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

ছাগলের খামারে দিনবদল

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রামীণ বসতি যুবক শাহাদত হোসেন সরকার আত্মকর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী হতে নিজ উদ্যোগে একটি ছাগল খামার করেছেন। নিজ পরিবারের সবাই খামারটিতে ছাগল লালন-পালনে শ্রম দিচ্ছেন।

উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শাহাদত হোসেন সরকার ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলে জানান। প্রায় বছর দেড়েক আগে ইউটিউবে একটি ভিডিওতে ছাগল খামার দেখে তার মনে ছাগল খামার করার শখ জাগে বলে জানান। এমন একটি খামার করার মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী হবেন ভেবে এটি করেছেন। বিভিন্ন উপায়ে অর্থ জোগাড় করে নিজ বাড়িতেই খামারটি করা হয়েছে। বড় ধরনের একটি টিনের ঘর নির্মাণ বাবদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সে ঘরেই ছাগল আটকে রেখে লালন-পালন করছেন তিনি। প্রথমে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় দেশীয় জাতের প্রায় ৪০টি ছাগল কেনেন। এখন তার খামারে বড়-ছোট মিলে প্রায় ৫০টি ছাগল আছে। এরমধ্যে আটটি পুরুষ ছাগল আর সবই নারী ছাগল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালো ও খয়েরি মিলে পালিত সবগুলো ছাগল পুরোপুরি দেশীয় জাতের। এ খামারেই আটটি নারী ছাগলের এরই মধ্যে বাচ্চা হয়েছে। নারী ছাগল পালন বিষয়ে মালিক শাহাদত হোসেন সরকার বলেন, তার খামারে পালিত ছাগল থেকে ছাগলের সংখ্যা বাড়বে। নতুন করে আর কিনতে হবে না। দেশীয় জাতের ছাগলের রোগ-বালাই খুবই কম হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। তবে এদের সঙ্গে বিদেশি জাতের দু-চারটি ছাগল পালনের ইচ্ছা আছে বলে জানান তিনি। প্রায় এক বিঘা জমিতে ঘাসের আবাদ করেছেন। ছাগলের খাদ্য হিসেবে ঘাসের পাশাপাশি খৈল ও গমের ভূষি খাওয়ানো হয়। তার মা শাহিনুর খাতুন ও দশম শ্রেণি পড়ুয়া আপন ছোট ভাই শাকিল হোসেন ছাগল লালন-পালনে শ্রম দিয়ে থাকেন। পালিত কোনো ছাগলের রোগ দেখা দিলে এলাকার প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ ও তার দেওয়া ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন বলে জানান তিনি।

শাহাদত হোসেন সরকারের মা শাহিনুর খাতুন বলেন, তিনি সন্তানের সঙ্গে নিজেও ছাগল লালন-পালনে শ্রম দেন। আর ছোট ছেলে শাকিল হোসেন সকাল-বিকাল কিছুটা সময় এর পেছনে শ্রম দেয় বলে জানান তিনি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোর্শেদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ছাগলের খামার করে সঠিক পরিচর্যায় কম সময়ে লাভবান ও সাফল্য মেলে। রোগ-বালাই থেকে রেহাই ও রক্ষায় পালিত ছাগলগুলোর দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। খামারি চাইলে খাদ্য হিসেবে ঘাস কিংবা ঘাস বীজ দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া সরকারি নিবন্ধিত খামারির জন্য ব্যাংক থেকে অর্থ ঋণ সহায়তা পেতে তার বিভাগ থেকে প্রত্যয়ন সুপারিশ করা হয়ে থাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close