পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৫ নভেম্বর, ২০২১

পটিয়ায় রেললাইনের ওপর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র সদর পটিয়া রেলস্টেশনে লাইনের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সিএনজি স্টেশন বসানো হয়েছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে রেল বিভাগের যেন কোনো মাথাব্যথা নেই।

সম্প্রতি পটিয়া রেলস্টেশনে ডেমু ট্রেন উদ্বোধনের সময় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কড়া হুশিয়ারি দিয়ে নির্দেশ দিলে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ থেকে ছয় মাস না যেতেই আবার অবৈধ স্থাপনাগুলো রেললাইনের ওপর গেড়েছে।

জানা যায়, সরকার কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো রেললাইন ও স্টেশন সংস্কার কাজ শেষ করে। এতে পটিয়া স্টেশন সংস্কারের সঙ্গে দুটি ডেমু ট্রেন ও আরো দুটি স্বাভাবিক ট্রেন চালু হয়। এতে রেলযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার পর ডেমু ট্রেন চালু হলেও অপর দুটি ট্রেন রহস্যজনকভাবে চালু হয়নি। এতে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। এরই মাঝে এ স্টেশন এলাকার অবৈধ স্থাপনা ও লাইনের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসেছে।

এর আগে ডেমু ট্রেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেললাইন দখলের বিষয়টি রেলমন্ত্রীর নজরে আনা হলে, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন। তার কথামতো উচ্ছেদ অভিযানের ছয় মাস না যেতেই আবার রেল লাইনে অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন দখলদাররা। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছে সিএনজি স্টেশনও। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভাসমান দোকানদার সাইফু ও রানা জানায়, তারা পেটের দায়ে আপাতত এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, স্টেশন মাস্টারের নাকের ডগায় অবৈধভাবে রেললাইনের ওপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে স্থানীয়রা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই ব্যাপারে পটিয়া স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন বলেন, এসব অবৈধ ভাসমান দোকান জিআরপি পুলিশ উচ্ছেদ করে কিন্তু তারা পুনরায় বসে। উচ্ছেদের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close