সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
দোকানিদের দখলে ফুটপাত
নাগরিক সুবিধা বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া অর্থে সৈয়দপুর পৌর সভার সড়ক প্রশ্বস্ত করা হলেও স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না শহরবাসী। সড়ক ও ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। শহরের ব্যবসায়ীরা সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পন্যের পসরা সাজিয়ে রাখার কারণে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া সুবিধা ভেস্তে যেতে বসেছে।
দেখা গেছে, সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক, শহীদ ডা. জহিরুল হক সড়ক, শের-এ-বাংলা সড়ক, বাবু তুলশীরাম সড়ক ও বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশ দোকানেদের দখলে চলে গেছে। দোকানীরা এসব সড়কের দুইপাশ মিনি দোকানে গড়ে তুলেছেন। দিব্যি দোকানদারী করছে সড়কের উপরই। সড়ক জুড়ে পন্যের সমাহারে প্রশ্বস্ত সড়ক গলি পথে পরিণত হয়েছে। আবার অনেক দোকানী তাদের দোকানের সামনে রাস্তার উপর হকার বসিয়ে ভাড়া আদায় করছেন। লাগামহীন সড়ক দখলের কারণে মানুষের নিরাপদ চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া প্রশ্বস্ত সড়কও দখল করে ব্যবসায়ীরা দোকানের রুপ দেওয়ায় নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। বিষয়টি মেয়রের দৃষ্টিতে এনে সমাধানের দাবি করায় পৌর পরিষদ সড়ক ও ফুটপাত থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে মাইকিং করলেও ব্যবসায়ীরা তা আমলেই নিচ্ছেন না। প্রথম বারের মতো সৈয়দপুর পৌর সভায় ঘরনী থেকে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় রাফিকা আক্তার বেবীর দেওয়া নোটিশ বা মাইকিং এর কোন তোয়াক্কাই করছেন না ব্যবসায়ীরা। একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন সড়কের উপর পন্য রাখায় নির্বিঘেœ চলাচল করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এর ফলে যানজটও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের প্রধান ৬ সড়কের অধিকাংশ দোকানী পন্য সামগ্রী রাস্তা দখল করে সাজিয়ে দেখেছেন। ক্রেতারা সড়কে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। সড়ক গুলিতে পন্যের পাশপাশি প্রকৌশল ও ফার্নিচার পন্যও রাখা হয়েছে। এমনকি চলছে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ, তেলের ড্রাম ও অন্যান্য পন্যের বস্তা ভর্তি মালামাল রাখা হয়েছে। কাপড়, পাদুকা, মুদি ও গৃহস্থালী পন্যের দোকান রয়েছে সড়কে।
এ ব্যাপারে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা রুহুল আলম মাষ্টার বলেন, ভোট প্রাপ্তির আশায় কোন মেয়রই সড়ক ও ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে পারছেন না। যানজট নিরশনসহ জনসাধারনের চলাচলের সু-ব্যবস্থা করতে চাইলে মেয়রের সৎ ইচ্ছাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র রাফিকা আক্তার বেবী বলেন, শহর উন্নয়নের বরাদ্ধ আনতে দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান করায় সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান চালানো হয়নি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
"