শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ২১ নভেম্বর, ২০২১

গরুর হালে মন্টু মিয়ার জীবিকা

‘হট হট ডান যা, বামে যা’- আজকের দিনে আর শোনা যায় না গ্রামের কৃষকদের মুখে এই কথাগুলো। প্রযুক্তির এই যুগে হারিয়ে গেছে গরু দিয়ে হাল চাষ। নেই আর গরু দিয়ে জমি চাষা। তার পরও হঠাৎ চোখে পড়ল গরু দিয়ে হাল চাষ। এই সনাতন পদ্ধতি ধরে রেখেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ মোকামতলা ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে ফেরদৌস রহমান মন্টু মিয়া (৫০)।

কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, ‘আমার বাব-দাদারা গরু দিয়ে জমি চাষাবাদ করেছেন। আমিও সারাজীবন এখন পর্যন্ত গরু দিয়ে জমি চাষ করি। জমি চাষাবাদের জন্য পাওয়ার টিলার বা অন্য কোনো কৃষিপ্রযুক্তি সাহায্য ছাড়াই আমি হাল গরু দিয়ে চাষাবাদ করি। শুধু তা-ই নয় রাসায়নিক সার, কীটনাশক খুব অল্পমাত্রায় ব্যবহার করি জমিতে।’ শুধু উৎপাদিত জৈবসার ব্যবহার করেন তিনি।

নিজের জমি হাল গরু দিয়ে চাষাবাদ করার কারণে খরচ সবদিক থেকে সাশ্রয় হয়। কৃষক মন্টু মিয়ার হাল গরু দিয়ে জমি চাষ করতে শতক প্রতি ১৫ টাকা করে দিতে হয়। অনেকেই পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষাবাদ করে না। কারণ হাল দিয়ে চাষ করলে টিলারের চেয়ে লাঙ্গলের ফলা মাটির গভীরে যায় তাতে করে জমির ফলন অনেক ভালো হয়।

রহবল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, মন্টু মিয়া একজন পরিশ্রমী কৃষক সে আজও গরু দিয়ে হাল চাষ করে নিজ ও অন্যের ফসল ফলাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, সোনাতন পদ্ধতিতে হাল গরু দিয়ে চাষাবাদ এখন বিরল। লাঙ্গলের ফলা টিলারের ফলার চেয়ে জমির অনেক গভীরে প্রবেশ করে। এতে করে মাটির গুণাগুণ সঠিক পিএইচ মাত্রা ও ফসল ভালো হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে কৃষক মন্টু মিয়াকে কৃষি প্রণোদনাসহ বিধি অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close