ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ২১ নভেম্বর, ২০২১

প্রশাসনকে ম্যানেজ করে করাতকল

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ করাতকল। রাস্তার আশপাশে সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় গড়ে উঠছে করাতকলগুলো। এতে রাত কিংবা দিনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে কাঠচেরাই। করাত কল গড়ে তোলায় যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের, তেমনি বিকট শব্দে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ধোবাউড়া সদরে আটটি, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে পাঁচটি, গোয়াতলা ইউনিয়নে চারটি, ঘোষগাঁও ইউনিয়নে চারটি, গামারিতলা ইউনিয়নে চারটি, পুড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে সাতটি এবং বাঘবেড় ইউনিয়নে ১১টি করাত কল রয়েছে।

জেলা বন বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় মোট ৪১টির বেশি করাত কল রয়েছে। যার মধ্যে একটিরও অনুমতিপত্র নেই। উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের তদারকির অভাবে গভীর রাত পর্যন্ত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চালু করে রাখা হয় এসব করাত কল। এছাড়া সকাল ৬টার আগে ও সন্ধ্যা ৬টার পরে করাত কল চালানোর নিয়ম থাকলেও তা তোয়াক্কা করছেন না মিল মালিকরা। আবাসিক এলাকা, সড়ক, নদীর সীমানাঘেঁষে এবং পাহাড়ের সীমান্ত এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে এসব করাত কল। এসব মিলের নেই কোনো সরকারি অনুমতিপত্র কিংবা লাইসেন্স।

মিল মালিকরা জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং দায়িত্বপ্রাপ্তকে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে এসব মিল। সীমান্ত এলাকা এবং ধোবাউড়া সদরে প্রতি মাসে প্রতিটি মিল থেকে ৫ মন করে লাকড়ি দিতে হয়। অন্য মিলগুলো মাসোহারা ভিত্তিতে টাকা দেয়। এসব ম্যানেজমেন্টের কাজ করেন মুন্সিরহাট বাজারের মিল মালিক হারুন। পুরো উপজেলার মিলগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন আ. হেলিম।

মিল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আ. হেলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট মহলকে ম্যানেজ করে চলছে এসব মিল। এ ব্যাপারে বনবিভাগ ধোবাউড়া পুটিমারী বিটের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান মাসোহারা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা সহযোগিতা করব।

ইউএনও রাফিকুজ্জামান জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব করাত কলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close