রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
রৌমারীতে সার সংকট হতাশায় মৌসুমি চাষি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার হাটবাজারে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারের সংকট দেখা দিয়েছে। এক বস্তা সারের জন্য খুচরা বিক্রেতা ও ডিলারের পেছন ঘুরতে হচ্ছে কৃষকদের। গত ৭ দিন ধরে চরম সার সংকটে হতাশ রয়েছেন তারা। সারের দাবি জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন কয়েকশ কৃষক। এ ঘটনার তদন্ত করে ৩ ডিলারকে শোকজ, খুচরা ৩ বিক্রেতাকে ৬ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন প্রশাসন।
জানা গেছে, এখন আলু, সরিষা ও ভুট্টা চাষের মৌসুম। কৃষকের সারের প্রয়োজন, কিন্তু ক্ষেতে হালচাষ করে বসে আছে সারের জন্য। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার কাছে সার না থাকায় স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষি বিভাগের নিরবতায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অক্টোবর মাসে রৌমারীতে ৭৫০ টন সারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪৫ টন সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিসিআইসি অনুমোদিত ৯ জন ডিলার ও ৫৬ জন্য খুচরা বিক্রেতা রয়েছে যাদের মাধ্যমে প্রতি বস্তা ইউরিয়া ৮০০ টাকা বিক্রিত মূল্যে কৃষকের কাছে সার তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু গত ২৬ অক্টোবর কর্তিমারী বাজারে এক ডিলারের ঘরে দেখা গেছে একটি মাত্র বস্তা, দাম চাওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
নূর হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, ৮০০ টাকার বস্তা এক হাজার টাকা দাম চায়। ক্ষেত প্রস্তুত করা শেষ কিন্তু সার পাচ্ছি না। অনেক কৃষক জানান, বরাদ্দকৃত ২৪৫ টন সার যদি ডিলার এলাকায় বিক্রি হতো তবে সংকট হতো না। ডিলাররা যমুনা ফার্টিলাইজার মিল গেট থেকেই চড়া দামে সার বিক্রি করে দেয়। এর সঙ্গে কৃষি বিভাগও জড়িত রয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তবে ডিলাররা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিসিআইসি ডিলার মোস্তাফিজুর রহমান সার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, যে পরিমান সারের প্রয়োজন সে পরিমানে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ কারনে সার সংকট দেখা দিয়েছে।
এ ব্যপারে কৃষি কর্মকর্তা কাউয়ুম চৌধুরী বলেন, কৃষকদের থেকে অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হঠাৎ করেই সারের সংকট তৈরি হয়েছে। এরকম তো হয় না। দ্রুত এর সমাধান হবে। এছাড়া ৩ জন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে এবং চড়া দামে সার বিক্রির অপরাধে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
"