শেরপুর প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

১৪ বছর নড়বড়ে সাঁকোয় পারাপার

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া কবিরাজপাড়া গ্রামে প্রায় ১৪ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ওই বছরই পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে যায়। সেতুটি বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুর পাশ দিয়ে কাঠ ও বাঁশের নড়েবড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যাতায়াতকারীরা। যেকোনো সময় সাঁকোটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কা এলাকাবাসীর।

কবিরাজপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মালিঝি নদীর শাখা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পানিতে পড়ে আছে। সেতুর পাশ দিয়ে কাঠ ও বাঁশের নড়েবড়ে সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৭ সালে এলজিইডির অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের পরই ওই বছরই পাহাড়ি ঢলে সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে এখনো সে অবস্থায় রয়েছে। এতে পুটলপাড়া, শাকপাড়া, মাছপাড়া, দড়কাপাড়া, কবিরাজপাড়া গ্রামের মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

পুটলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা বলে, এখানে সেতু না থাকায় কাঠ ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে নির্মিত নড়েবড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচলে অনেক ভয় করে। এ কারণে অনেকেই বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।

ঘাগড়া পুটলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ খালের ওই পাড় থেকে বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে। সেতুটি না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ সেতুটি পুনর্নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল বলেন, সেতুটির পুনর্নির্মাণের জন্য তালিকা করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই খালের ওপর সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close