লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ডলু খালে বালু উত্তোলন
লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি-পুটিবিলার দুই ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে ডলু খালের সংযোগ সড়কের একটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। এটি বান্দরবানের আলীকদম ও লামা উপজেলার সঙ্গে লোহাগাড়া হয়ে চট্টগ্রামের সংযোগ স্থাপনকারী সেতু। সেতুর নিচে এবং এর পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করায় এটি হুমকির মুখে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেইলি সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যান চলাচল করছে। অনেক গ্রামের মানুষ স্কুল, মাদরাসা, কলেজশিক্ষার্থীদের এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। সাধারণ মানুষ, পথচারী ও যান চলাচলের একমাত্র সেতু এটি। বর্তমানে বালুখেকোরা সেতুর নিচে এবং পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন ও বিভিন্ন ভারী যন্ত্র বসিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বালু উত্তোলনের কারণে বেইলি সেতুটিসহ আরো অনেক রাস্তাঘাট, ঘরাবাড়ি, কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে শত শত গ্রামের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ইউপি সদস্য মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, পুরোনো এই সেতুটি দিয়ে এলাকার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সেতুটির নিচে হতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মুহাম্মদ ইউনুচ জানান, বালু উত্তোলনের কারণে বেইলি সেতুটি এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি। চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানি জানান, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী ইফরাত বিন মুনীর জানান, ডলু খালের ওপর বেইলি সেতুটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু জানান, প্রতিদিন অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু জব্দ করেছি।
"