রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১১ অক্টোবর, ২০২১

রৌমারীতে সেতু নেই ১৭ গ্রামের মানুষের

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে উপজেলার সেতুর অভাবে ১৭টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ২৪ বছর আগে কাশিয়াবাড়ী পূর্ব পাশে খালে রাস্তা ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি একটি সেতু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়াইবাড়ী, ঝাউবাড়ী, পূর্ব বারবান্দা, চুলিয়ারচর, বারবান্দা, বাওয়াইর গ্রাম, বকবান্দা, খেওয়ারচর, পূর্ব দুবলাবাড়ী, ইজলামারী, চর ইজলামারী, পাটা ধোয়াপাড়া, চর কলাবাড়ী, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ী, পুরাতন যাদুরচর ও নয়ারগ্রামসহ ১৭টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ীর পূর্ব পাশে গ্রামবাসী ও যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান যৌথভাবে ২০১৯ সালে ১২০ ফুট বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গেছে। নৌকা দিয়ে রিকশা-ভ্যান, মালামাল, কৃষিপণ্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, ঝুঁকি নিয়ে যাতয়াত করছে এই রাস্তা দিয়ে।

চুলিয়ারচর গ্রামের আবদুর রহমান বলেন, সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতাম। বর্তমানে বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে মালামাল পরিবহন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ২০-২৫ বছর ধরে রাস্তা ভেঙে গেছে এখন পর্যন্ত সেতু নির্মাণের খবর নেই।

কলাবাড়ী গ্রামের শিক্ষক মো. এমদাদুল হক বলেন, সেতুর অভাবে ১৭টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পড়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে শুনেছি বন্যার পরে নাকি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, সেতু না থাকায় ১৭টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে হাট-বাজারে আনা নেওয়াসহ চলাচলের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যার পরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুবায়ের হাসান বলেন, কাশিয়াবাড়ী পূর্ব পাশে খালের ওপর সেতু নির্মাণে বরাদ্দ ও টেন্ডারের কাজ শেষ হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close