তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

  ১১ অক্টোবর, ২০২১

কালভার্ট ভেঙে ১৩ গ্রামের দুর্ভোগ

প্রায় এক বছর ধরে নেংটিছেঁড়া খালের ওপর যান-চলাচল বন্ধ

রংপুরের তারাগঞ্জে কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ১৩ গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। গত বছরের জুলাইয়ে নেংটিছেঁড়া খালের ওপর চকতাহিড়ায় কালভার্টটি বর্ষার সময় পানির স্রোতে ভেঙে যায়। সেই সময় থেকে প্রায় এক বছর ধরে ওই পথ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কালভার্ট থেকে অনেক দূর পর্যন্ত রাস্তা ভেঙে গেছে।

চকতাহিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কেউ সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেয়নি। এর ফলে গ্রামবাসী অনেকদূর পথ ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করলেও কোন কাজ এগোচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন জানান, কালভার্টটি দিয়ে আলমপুর ইউনিয়নের চাকলা, পাইকপাড়া, দর্জিপাড়া, সেনপাড়া, ভীমপুর, খিয়ারপাড়া, চকতাহিরা, তেঁতুলতলা, চিকলী, শাওনাপাড়া, ধোলাইঘাট, চিকলী, কবজিপাড়াসহ এ এলাকার হাজারও মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে আছেন।

এছাড়াও কৃষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হামরা কষ্ট করি মাথার ঘাম পাওত ফেলে শাকসব্জি আবাদ করি। কালভার্ট না থাকির জন্যে তারাগঞ্জের হাটোত হামরা শাকসিব্জ কোনা নিয়া যাবার পাই না। স্থানীয় বাসিন্দা রোকসানা খাতুন বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরে উপজেলা সদরের স্কুল-কলেজে যেতে হচ্ছে। করোনাকালীন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়েছে। সদ্য খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অতিরিক্ত ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে চাচ্ছে না। কালভার্টটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কালভার্টটি না থাকায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগে আছে। আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ এদিকে, উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান বলেন, ‘কালভার্টটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close