চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শুধু নামেই ডিজিটাল!

রাজশাহীর চারঘাটে টিনশেডের একটি ভাঙা ঘরে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম। ডাকঘরের বাইরে ‘ডিজিটাল পরানপুর অফিস’ লেখা থাকলেও বাস্তবে ডিজিটালের লেশ মাত্র নেই। এই ডাকঘরের নেই কোনো নিজস্ব ভবন। সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে ঘরে পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। এমনকি ডাকঘরে লকার, আসবাবপত্র ও ডিজিটাল স্কেল বা পাল্লা কিছুই নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ ডাকঘরটি কাজে নয় শুধু নামেই ডিজিটাল।

এলাকাবাসী জানান, ডাকঘরের কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ ডিজিটাল সব সামগ্রী থাকে পোস্টমাস্টারের বাড়িতে। ডাকঘর কখন খোলা থাকে তা কেউ জানে না। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবা গ্রহীতাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ভায়ালক্ষ্মীপুর বুদিরহাট কলেজের প্রভাষক নূরে আলম বলেন, জন্মের পর থেকেই দেখছি ভাঙা ঘরে ডাকঘর চলছে। সবকিছুর উন্নয়ন হলেও ডাকঘরের উন্নতি হয়নি। অনেকেই সেখানে সেবা নিতে গিয়ে অনীহা প্রকাশ করে। এছাড়া ডাকঘরটি ভাঙা হওয়ায় আর্থিক লেনদেন করতে ভয় পান অনেকেই। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, বর্তমানে ডাকঘরের সেবার আওতা বেড়েছে। দেশ-বিদেশে চিঠি, পার্সেল পাঠানো ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানিট্রান্সফার সেবাও দিচ্ছে। ডাকঘরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থাকে। ডাকঘরের নিজস্ব ভবন হলে এগুলোর নিরাপত্তাসহ গ্রাহকদের ভোগান্তি কমবে।

এ বিষয়ে পোস্ট মাস্টার জোসের রহমান বলেন, উপজেলার অধিকাংশ শাখা সরকারি ভবন পেয়েছে। পরানপুরে যদি কেউ জমি দান করেন তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

পিএমজি উত্তরাঞ্চল রাজশাহীর সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল এনামুল হক জানান, পর্যায়ক্রমে সব শাখা পোস্ট অফিসই সরকারি দালান ভবন পাচ্ছে। পরানপুরে কেউ ৫ শতাংশ জমি দান করে তবে সরকারিভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close