কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন আয়বর্ধক প্রশিক্ষণে

বগুড়ার কাহালু উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের মাধ্যমে আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আগ্রহ বাড়ছে অবহেলিত নারীদের। অন্যের বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি সহায়তায় এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে শিক্ষার্থীসহ সব বয়সি নারীরা প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসে। বিশেষ করে যারা বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, যাদের সংসারে অভাব-অনটন এবং পরিবারে অবহেলিত; তারাই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন এই প্রশিক্ষণে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি সার্বিক সহায়তায় মহিলাদের আয়বর্ধক (আইজিএ) এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রম ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়। আইজিএ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে নারীদের ভাগ্যোন্নয়নে মহিলাবিষয়ক অফিসের মাধ্যমে সরকারিভাবে এই প্রকল্প চালু করা হয়। ৩ মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণে দুই শিফটে আগে ৪০ জনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। বর্তমানে সেটি বাড়িয়ে ৫০ জন করা হয়েছে। আগে ৩ মাসের প্রশিক্ষণের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দিনে ১০০ টাকা ভাতা দেওয়া হতো। যা বর্তমানে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

শুরুর দিকে দুই শিফটে ব্লকবাটী ও টেইলারিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এখন এক শিফটে ব্লকবাটী ও টেইলারিংয়ের সঙ্গে ফুড প্রসেসিং ট্রেড যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৪০ জন অবহেলিত নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক ২ জন প্রশিক্ষক ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকার একটি ছোট কোয়ার্টারে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে মাত্র চারটি সেলাইমেশিনে। প্রশিক্ষণার্থীর তুলনায় কেন্দ্রের জায়গা ও সেলাইমেশিন কম থাকায় কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে সেলাইমেশিন বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জায়গা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন অনেকে।

প্রশিক্ষণ নিতে আসা অনেকে জানান, এখানে বড় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হলে প্রতি শিফটে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যাও বাড়বে। ফলে এই জনপদের নারীরা অন্যের বোঝা হয়ে না থেকে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

জারিন তাজ নামের এক প্রশিক্ষক জানান, নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ ও আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হলে এই উপজেলার অধিকাংশ নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. তানজিমা জানান, প্রশিক্ষণের পর সেলাইমেশিনসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে নারীদের আর অন্যের ওপর ভরসা করতে হবে না। তারা নিজেরাই উপার্জন করে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close