পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ছয় বছর দখলে শ্রেণিকক্ষ

পাথরঘাটায় স্কুলে পরিবারসহ প্রধান শিক্ষকের বাস

পাথরঘাটায় বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও ছাত্রীদের ওয়াসরুম দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে। উপজেলার জালিয়াঘাটা এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে এমটি দেখা যায়। গত ছয় বছর ধরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি শ্রেণিকক্ষগুলো দখল করে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও ছাত্রীদের ওয়াশরুম দখলে করে পরিবারসহ বসবাস করছেন ওই প্রধান শিক্ষক। তিনটি শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ একত্রিত করে বানিয়েছেন খাট এবং অন্যগুলোতে রেখেছেন মালামাল। রান্নার জন্য বারান্দার এক পাশে চুলা বসিয়ে বেড়া দিয়েছেন স্বাধীনতা দিবস ও শোক দিবসের ব্যানার দিয়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, প্রধান শিক্ষক কয়েক বছর ধরেই শ্রেণিকক্ষগুলোতে তার পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া ছাত্রীদের ওয়াশরুমটাও দখল করেছেন। ওই ওয়াশরুমের সামনে স্যারের খাট থাকায় ছাত্রীরা লজ্জায় ভেতরে যেতে পারে না। আমরা কিছু বললে মারধর ও ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে বলে হুমকি দেন তিনি। ফলে ছাত্রীদের বাধ্য হয়ে ছেলেদের ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শ্রেণিকক্ষগুলো দখল করে বসবাস করছেন। প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌস শ্রেণিকক্ষ দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সবকিছু ম্যানেজ করেই ছয় বছর ধরে থাকছি। আপনারা নিউজ করে যা করার করেন। বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ব্যানারের বেড়া দিয়ে রান্না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ও গুলো এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ.লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে বেড়া দিয়েছেন তিনি। এতে অন্যায় করেছে। আমরা বিষয়টি উপজেলা আ.লীগকে জানাব।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ইউএনও হোসাইন মোহাম্মাদ আল-মুজাহিদ বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close