নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল পৌরসভা
বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা
অল্প বৃষ্টিতেই নড়াইল পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গত সোমবার ও মঙ্গলবারের বর্ষণে পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক এবং বাড়ির আঙিনা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়ির ভেতরে পানি প্রবেশ করে আসবাবপত্র নষ্ট এবং রান্না পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে পৌরসভার ২, ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তা ডুবে গেছে। কুড়িগ্রাম, মাছিমদিয়া, ভওয়াখালী, আলাদাতপুর, দক্ষিণ নড়াইল, দুর্গাপুর, মহিষখোলা, বরাশোলা, ভাটিয়া ও সিটি কলেজপাড়ার অবস্থা বেশি নাজুক।
জানা গেছে, ১৯৭২ সালে নড়াইল পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলেও পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বরং রূপগঞ্জ-তুলারামপুর খাল, ভাদুলিডাঙ্গা-মুলিয়াখাল, উত্তর ভওয়াখালী-বাহিরডাঙ্গা-খালসহ কয়েকটি জলাশয় দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এসব খাল ও জলাশয় ভরাট ও দখল করে অপরিকল্পিতভাবে নড়াইল শহর ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কয়েক হাজার বাড়ি, মার্কেট ও স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এছাড়া রেললাইন প্রকল্পে শহরের পাশ দিয়ে কাজ করার কারণে পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নড়াইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পলি রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই তার মহল্লায় হাঁটুপানি জমে যায়। পানি বের হওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল আমিন জানান, তাদের ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভিজে গেছে। রান্নাঘরে পানি ওঠে যাওয়ায় রান্নার পরিবেশ নেই।
নড়াইল পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে অপরিকল্পিত এবং বিচ্ছিন্নভাবে অধিকাংশ ড্রেন তৈরি করা এবং খাল-জলাশয়গুলো ভরাট ও দখল করার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নড়াইল পৌরসভায় প্রয়োজন ৫৫ কিলোমিটার ড্রেন কিন্তু এর বিপরীতে রয়েছে মাত্র তিন কিলোমিটার ড্রেন। আমরা এখন প্রয়োজনীয় ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
"