গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সুরিয়া নদীর ভাঙন, ঝুঁকিতে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সুরিয়া নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে রয়েছে উপজেলার মাওহা তিনটি গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। এরই মধ্যে অনেকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।

গ্রামবাসী জানান, সুরিয়া নদী খনন না হওয়া, গতিপথ পরিবর্তন এবং বর্ষায় অতিবৃষ্টিতে উজানের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছর ভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয় যায়। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়িগুলো যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে।

মাওহা ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে সুরিয়া নদী। নদীতে ভাঙনের কারণে ওই ইউনিয়নের কুমড়ি, নয়ানগর বাউশালীপাড়া ও কুশ্বাপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সুরিয়া নদীভাঙনের কারণে সবেচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে কুমড়ি গ্রামের মানুষ। এরই মধ্যে ওই গ্রামের অনেকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির কাছে চলে আসায় ঝুঁকিতে রয়েছে ওই গ্রামের পায় ৩০টি পরিবার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান এন্টাস বলেন, মাওহা ইউনিয়নের ধারকান্দি পূর্বপাড়া এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দেওয়ায় অনেকের ঘরবাড়ি ও জমি বিলীন হয়ে গেছে। আমার নিজেরও ৩২ কাঠা জমি নদীতে চলে গেছে। নিজের বাড়িও সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে নয়ানগর বাউশালীপাড়া গ্রামে নদীর ভাঙনের কারণে নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাওহা পশ্চিমপাড়া ঈদগা মাঠসহ গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। সুরিয়া ভাঙনে হুমকিতে আছে কুশ্বাপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচটি পরিবার।

নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবদুল কুদ্দুস বলেন, সুরিয়া নদীর ভাঙনে বিদ্যালয়ের দুই শতাংশ জায়গা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয় ভবন ভাঙনের হুমকিতে পড়তে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ বলেন, নদীভাঙনের বিষয়টি গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধরা কেউ আমাকে জানায়নি। দ্রুত ভাঙন এলাকা পরির্দশন করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জানানো হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close