বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অর্ধলক্ষাধিক মানুষের ভরসা সাঁকো

বাঁশখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার সরল ইউনিয়নের জালিয়াখালী ও শীলকূপ মনকিচর ইউনিয়নের মাঝামাঝি জালিয়াখালী জলকদর খালের ওপর নির্মিত সাঁকোটি দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। গত কয়েক বছর ধরে জোয়ার ভাটার তোড়ে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ফলে দুই সাঁকোটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

উপজেলার সরল ইউনিয়নের জালিয়াখালী গ্রামের ৬০ ঘরপাড়া, খালাইচ্ছ্যারপাড়া, মিনজিরীতলা এবং শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রাম ও গন্ডামারা ইউনিয়নে যাতায়াতকারী অর্ধলক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই সাঁকো দিয়ে পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা মনকিচর ও সরল এলাকায় গিয়ে কৃষিজমিতে চাষাবাদ করে। এ ছাড়াও বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়, মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদ্‌রাসা এতিমখানা ও হেফজখানা, আল হুমায়রা মহিলা মাদ্‌রাসা ও পশ্চিম মনকিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত শতাধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হয়। এ ছাড়াও এ সাঁকো পার হয়ে সরল-মনকিচর ও গন্ডামাররার স্থানীয়রা উপজেলা সদর ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়রা সাঁকো বানিয়েছেন। গ্রামগুলোতে যানবাহন প্রবেশ করতে না পারায় কৃষক ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা তাদের আবাদি শস্য হাটে বাজারে নিতে পারছেন না। এতে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বেশির ভাগ কৃষক। এ ছাড়া অসুস্থ রোগীদের বাঁশের মাচায় করে সাঁকো পার হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সময় সাঁকোটি ভেঙে গেলে দীর্ঘদিন যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। পরে নিজেরাই সংস্কার করে সাঁকোটি। তবে এই সংস্কার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। জোয়ারের পানির ধাক্কায় সাঁকোটি আবারও নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় এবং শুকনো মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোয় পারাপার করতে হয় স্থানীয়দের। এতে দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। সামুদ্রিক মাছ কেনার জন্য সরল, জলদীসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীকে শীলকূপ মনকিচর ও গন্ডামারা যেতে হয়।

মনকিচর মাদ্‌রাসার পরিচালক মাওলানা আনিছুর রহমান জানান, মাদ্‌রাসার বার্ষিক মাহফিলে হাজার হাজার মানুষ এই সাঁকো পার হয়ে আসতে হয়। জরাজীর্ণ এ সাঁকোটি ভেঙে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই একটা সুরাহা হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close