উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শরৎ শুভ্রতায় কাশবন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চরের কাশবনে ফুটেছে ফুল। মেলে ধরেছে আপন রূপ। প্রকৃতিপ্রেমীদের ডাকছে কাছে। শরৎ শুভ্রতা আর প্রকৃতির রূপের বন্দনায় মন চাইতে দলবেঁধে অনেকেই যাচ্ছেন সেখানে। আবার কেউ একাকীও যাচ্ছেন। বছর ঘুরতেই জমি মালিকরা এখান থেকে উপার্জন করছেন।

উল্লাপাড়া পৌর এলাকার এনায়েতপুরে ফুলঝোড় নদী পাড়ে হেলিপ্যাড। নদীটির ওপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বিশাল এলাকা নিয়ে চর সাতবারিয়া আবাদি মাঠ। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে চরের বেশি অংশ জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। এরই মাঝে নদী পাড়ঘঁষে প্রায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে কাশবন। স্থানীয়দের কাছে কাইশা বাগান নামে পরিচিত বলে জানা যায়। এখন কাশবনজুড়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি। এরই মাঝে পুরো বাগান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ফুল ফোটার পর থেকেই সকাল ও বিকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এখানে বেড়াতে আসছে। বিকালে লোকের সমাগম বেশি থাকে। এপারের হেলিপ্যাড ঘাট থেকে ওপারের কাশ বাগানে যেতে ডিঙি নৌকায় জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।

খোরশেদ আলম নামের ডিঙি নৌকার একজন মাঝি জানান, এমনিতেই একবার পার হতে ভাড়া ১০ টাকা নেওয়া হয়। তা ছাড়া পারাপারসহ আধা ঘণ্টা থেকে ঘণ্টাখানেক সময় কাশ বাগানের চারপাশ ঘোরার জন্য ভাড়া চুক্তিতে করা হয়।

বেড়াতে আসা ঝিকিড়া ও ঘোষগাতীর অনেকেই জানান, শহরের কোলাহল থেকে নিরিবিলি বিকালে সময় কাটাতে সপ্তাহের এক-দুদিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে আসেন। বর্ষাকাল পেরিয়ে গেলেও নদী আর কাশবন দেখা আর নৌকায় বেড়ানো হয়।

সাতবারিয়া গ্রামের হাকিম মিয়া জানান, তার আরেক ভাই মহরম মিয়ার মিলে চরে প্রায় ৪৫ শতক জমিজুড়ে কাশ বাগান রয়েছে। আরো বেশ কজনেরও জমি আছে এখানে। তিনি আরো জানান এখানকার বাগানের কাশ ডাঁটা বিক্রি করা হয়। কার্তিক মাসের শুরুর দিকে নাটোর থেকে একাধিক ব্যবসায়ী কেটে নিয়ে যান।

পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতকান্দি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, চরের জমিগুলো বোরো ধান, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হয়। কাশ বাগান থেকে জমি মালিকরা বছরে কমবেশি কিছু টাকা পাচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close