ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ০৫ আগস্ট, ২০২১

পদ্মায় ভাঙন ঠেকাতে ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ

ফরিদপুরে পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে দুই গ্রামকে রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ভাঙন ঠেকাতে নদীতীরে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই দুটি গ্রামের ২৪টি পরিবারের ৬৫ বসতঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ’ একর ফসলি জমি ও অন্তত ১০০ মিটার এইচবিবি সড়ক। জেলা সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী ও আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ভাঙনরোধে গত ৩০ জুলাই থেকে কাজ শুরু করেছে পাউবো। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে ২০০ মিটার অংশে এ প্রতিরোধ কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ লাখ টাকা। কাজ পেয়েছে সিয়াম-সায়েম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভাঙনকবলিত ২০০ মিটার অংশ ১০ ফুট প্রস্ত করে ৮ হাজার ৮৬২টি বালুভর্তি জিওব্যাগ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, গত ১৭ জুলাই থেকে এ ভাঙন শুরু হয়। ভাঙন অব্যাহত ছিল টানা তিন দিন। তারপরও থেমে থেমে ভাঙন হচ্ছিল। তিনি বলেন, ভাঙনরোধে গত ৩০ জুলাই থেকে যে কাজ শুরু হয়েছে তা আগামী শনিবারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কাজ শুরু হওয়ার পর নতুন করে আর বাড়িঘর কিংবা ফসলি জমি ভেঙে যায়নি।

ভাঙনের কারণে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতের তিনটি খাম্বা। ফলে ওই এলাকার প্রায় অর্ধশত পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ডিক্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, নদীভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় এখন আর নদী ভাঙছে না। ভাঙনরোধে কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলোকে ঘর করার জন্য দুই বান্ডিল টিন ও নগদ অর্থ দেওয়া হবে ঘর তোলার জন্য।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা ক্ষতিগ্রস্ত ২৪টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঘর নির্মাণের জন্য টিন ও নগদ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close