বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

  ০৪ আগস্ট, ২০২১

ভাড়া পুকুরে পাটজাগ

অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি বছর বাগাতিপাড়ায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। তবে জমি থেকে কাটার পর জাগ দেওয়ার পানি নিয়ে অনেকেই ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। যাদের পাট জাগ দেওয়ার মতো জায়গা নেই তাদের নিতে হয়েছে পুকুর ভাড়া। এতে বাড়তি খরচ হওয়ায় লাভের পরিমাণ কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন চাষিরা। ভাড়া পুকুরে বিঘাপ্রতি জমির পাট জাগ দিতে গুনতে হচ্ছে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর পাট চাষ করে চাষিরা লাভবান হওয়ায় এবার আবাদের পরিমাণ বেড়েছে।

স্থানীয় পাটচাষিরা বলছেন, উপজেলার অনেক চাষি জাগ দেওয়ার পানির অভাবে জমির পাট কাটতে পারছেন না। যাদের নিজস্ব পুকুর বা ডোবা রয়েছে কেবল তারাই কেটেছেন। যাদের নেই তাদের অনেকেই ভাড়া পুকুরে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।

উপজেলার দেবনগর গ্রামের বজলুর রহমান জানান, পাট কাটার উপযোগী হওয়ার পরও জাগ দেওয়ার পানির অভাবে কাটতে পারছিলেন না। পরে পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিয়েছেন।

কাঁকফো গ্রামের পুকুর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এলাকার কৃষকরা তাদের প্রয়োজনে বিঘাপ্রতি ২ হাজার টাকা দরে পাট জাগ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তার পুকুরে প্রায় ১১ বিঘা জমির পাট জাগ দিয়েছেন কৃষকরা।

দেবনগর গ্রামের পুকুর মালিক মহর আলী বলেন, আমার দুই বিঘার একটি পুকুর লিজ নেওয়া আছে। এ বছর পাট চাষিদের সুবিধার্থে পুকুরের মাছ বিক্রি করে জাগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। বিনিময়ে কৃষকরা কিছু টাকা দিচ্ছেন।

বাগাতিপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে পানির অভাবে জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় একজনের পুকুরে টাকার বিনিময়ে জাগ দিয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট থেকে ছাল ছাড়িয়ে পানিতে ইউরিয়া মিশিয়ে ডুবিয়ে রাখার মাধ্যমে পাট প্রস্তুতের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close