মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

  ০৩ আগস্ট, ২০২১

গোমতীর বাঁধে ধস হুমকিতে সড়ক

কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গোমতী নদী। সম্প্রতি নদীর উত্তর পাড়ের প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর নির্মিত সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রায় একমাস ধরে বাঁধের সড়কটির বুড়িচংয়ের দক্ষিণ শ্যামপুর, পীরযাত্রাপুর, গোবিন্দপুর, কোমাল্লা, ব্রাহ্মণপাড়ার চন্ডিপুর এলাকায় বেশ কিছু স্থানে বাঁধের দুই দিকের মাটি ধসে গেছে। ফলে সড়কটির বেশ কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরসহ নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ নিশ্চিতে বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউনিয়নের কংশনগর থেকে গোমতীর উত্তর পাড়ের প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঁধটিতে সংস্কারের কাজ করা হয়। পরবর্তী সময়ে বাঁধের ওপরের সড়কটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোথাও প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরে, কোথাও প্যালাসাইটিং দেয়ালের কথা থাকলেও সেখানে হয়েছে নামমাত্র কাজ।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের একাধিক লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত প্রায় ছয় মাস আগে চন্ডিপুর এলাকায় বাঁধের ভেতরের অংশে কয়েক মিটার প্যালাসাইটিং দেয়াল বসিয়ে যায় কে বা কারা। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। কিছুদিন আগ থেকে চন্ডিপুর গ্রামের একাধিক স্থানে বাঁধের ভেতর ও বাহিরের অংশে মাটি ধসে পড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় সড়কটির কয়েকটি স্থানও ভেঙে যেতে থাকে।

একই অবস্থা বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর, গোবিন্দপুর, কোমাল্লা এলাকায় বাঁধের ভেতর ও বাহিরের অংশে। বৃষ্টিতে মাটি ধ্বসের কারণে চন্ডিপুর, দক্ষিণ শ্যামপুর, কোমাল্লা এলাকায় বেশ কিছু স্থানের সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন যানবাহনের চাপায় মাটি সরে গিয়ে আরো বড় হচ্ছে ধসে যাওয়া স্থানগুলো। এ অবস্থায় সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

বাঁধের নিচের অংশ থেকে মাটি কেটে বাঁধটি সংস্কার করা হয়েছিল। ফলে অল্প বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে বাঁধে ধসের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পাউবোর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, বাঁধটি সংস্কারের সময় দরপত্র অনুযায়ী কাজ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে বাঁধের দুই পাশে জিওব্যাগ বা প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরাট করে না ফেললে দ্রুত মাটি ধসে সড়কটিও ভেঙে যাবে। স্থানীয় গ্রামবাসীর দাবি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত বাঁধটি সংস্কারের মাধ্যমে সড়কটিকে ভাঙন থেকে রক্ষা করবে পাউবো।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালী উজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানতাম না। যেহেতু জানালেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close