টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
যমুনার চরে আলোর বাতিঘর
জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চৌরাকররা এলাকায় অবস্থিত ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সুশিক্ষার কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় কলেজ ও বিশ্বাবিদ্যালয়ের একঝাক তরুণ শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধানে। বই বিতরণ, ফেরত নেওয়াসহ সব কর্মকা- তারা নিজেরাই করে থাকে। বাতিঘরের আলোয় আলোকিত হচ্ছে যমুনা, ধলেশ্বরীর চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এক নিভৃত পল্লীর অন্ধকারে থাকা মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান জানান, ২০১০ সালে টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তিনি। ওই সময় নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি পাঠাগার। নিজের ও সহপাঠীদের কাছ থেকে পাওয়া বই দিয়ে গড়ে তোলা পাঠাগারটি এখন ১০ বছর অতিক্রম করেছে। পাঠাগারটিতে এখন প্রায় ৭০০ বই। করোনাকালীন ঝিমিয়ে পড়া শিক্ষার বিপরীতে মেধা যাচাই হচ্ছে এই পাঠাগারে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হচ্ছে যমুনা চরাঞ্চলের মানুষ। স্থানীয় ছেলে, মেয়ে, কিশোর সবাই আসে বই পড়তে। কখনো আসতে না পারলে ফোন করলেই বই চলে যায় বাড়িতে। মাঝে মাঝে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। যুবকদের মোবাইল বা ভার্চুয়াল আসক্তি কমিয়ে দিচ্ছে এই পাঠাগার। জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে এই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠাতা।
স্থানীয় তরুণ পাঠকরা জানান, এখন আমরা খুব সহজেই বই পড়তে পারছি। আগে আমরা অনেকেই মোবাইলে গেম খেলে সময় কাটাতাম। এখন পাঠাগারে বই পড়ে সময় কাটাই।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা বিমুখ মানুষকে বইমুখী করতে পাঠাগার বিশেষ ভূমিকা রাখে। মাদক ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে পাঠাগারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। চরিত্র ও সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তারও আশ্বাস দেন তিনি।
"