আবদুর রউফ, ধামরাই (ঢাকা)

  ২১ জুন, ২০২১

গ্রামবাসীর অর্থায়নে কাঠের সেতু

ঢাকার ধামরাইয়ে নিজেদের অর্থায়নে বংশী নদীর ওপর একটি কাঠের সেতু তৈরি করেছে এলাকাবাসী। সেতু নির্মাণের ফলে এ পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়।

উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের লোকজন মনের আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রায় দুই যুগ ধরে শুধু আশ্বাস পেয়ে আসছি কিন্তু আজ পর্যন্ত পেলাম না সেতু। শুধু নির্বাচন এলে আশ্বাস পাই কিন্তু সেতু পাই না। উপজেলার উত্তর এলাকার শেষের দিকে এই গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। সম্প্রতি স্থানীয় জানগণ নিজেদের অর্থায়নে বংশী নদীর ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। সেতুটি নির্মাণের ফলে কিছুটা হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেছে।

সেতু নির্মাণের আগে উত্তর পাড়ের গ্রামের লোকজনের নৌকা বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে হতো। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। বংশী নদী দক্ষিণ পারে রয়েছে যাদবপুর বিএম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক পুরোনো গরুর হাট। শত বছরের একটি হাটবাজার যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাটবাজার করতে আসে। সেই সঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়।

আমরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. অহেদ আলী বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকে শুনে আসছি যে, এই নদীতে সেতু হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত সেতুর কোনো কাজ দেখতে পেলাম না। আল্লাহ জানে কবে এখানে সেতু হবে। শুধু নির্বাচন এলে সবাই আশ্বাস দিয়ে থাকে কিন্তু সেতু পাই না। সেই কারণে আমাদের কষ্টের অর্জিত টাকা দিয়ে সেতুটি তৈরি করেছি। এখন সরকার দিলে ভালো না দিলে আরো ভালো।’

এ ব্যাপারে যাদবপুর বিএম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী বলেন, ‘বংশী নদীর ওপর কাঠের সেতু হওয়ার কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। কারণ যখন বাঁশের সাঁকো ছিল তখন ছেলেমেয়েরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতো, বিশেষ করে মেয়েরা সাঁকো দিয়ে পার হতে ভয় পেয়ে স্কুলে আসে বন্ধ করে দিত। আবার অনেকেই বাঁশের সাঁকোর ভয়ে অন্য স্কুলে যেতে বাধ্য হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি কষ্ট হয় বৃষ্টির দিনে।’

এ ব্যাপারে যাদবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আয়ুইব আলী ইছাক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমি নিজেও কাঠের সেতুর জন্য এলাকার লোকজনকে সহযোগিতা করেছি। এ ছাড়া এ ব্যাপারে এলাকার জনগণ আমাকে অবগত করেছে। আমি নিজেও এই সেতুর ব্যাপারে কথা বলেছি। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, সেতুটির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যাতে করে দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close